ছবিতে কসভো
কসভোর রাজধানী প্রিস্টিনার কেন্দ্রস্থল
প্রিস্টিনা শহরের কেন্দ্রভাগের প্যানোরামা ছবি৷
প্রিস্টিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার
কসভোর বাসিন্দাদের প্রায় ৬০ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের কম৷ দেশের অধিকাংশ তরুণ-তরুণীরাই উচ্চশিক্ষা নিতে আসে প্রিস্টিনায়৷ বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের ভবনটি রাজধানীর অন্যতম প্রতীক৷ এই গ্রন্থাগার আজ জাতীয় গ্রন্থাগারের মর্যাদা পেয়েছে৷
গেরিলাদের বিজয়মূর্তি
১৯৯৭ সালে সংখ্যাগুরু আলবেনিয় জনগোষ্ঠী সার্বিয়ার হাত থেকে কসভোর স্বশাসন ছিনিয়ে নিতে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করে৷ ১৯৯৮ সালে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে৷ তার একবছর পর সার্বিয়ায় বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুর উপর ন্যাটো শুরু করে বিমান হামলা৷ সারা কসভোয় ছড়িয়ে আছে গেরিলাদের বিজয়মূর্তি৷ ছবিতে একটি শহরে জনৈক গেরিলার মূ্র্তি৷
কসভোর দক্ষিণের একটি শহরে জুতোপালিশওয়ালা
দক্ষিণের প্রিৎসরেন শহরে নানা সম্প্রদায়ের মানুষের বাস৷ আলবেনিয়দের পাশে বাস করছে বহু তুর্কি, বসনীয়, রোমা, আশকালি এবং সার্বিয় মানুষ৷ দারিদ্র্যের ছবি এখানে স্পষ্ট৷ বেকার মানুষের হার ৪০ শতাংশেরও বেশি৷ ফলে জুতোপালিশেও আপত্তি নেই৷
সিনাইয়ে গ্রামে বাড়িঘরের ধ্বংসাবশেষ
কসভোর পশ্চিমে রুগোভে পর্বতের পাদদেশে রয়েছে ইস্টগ শহর৷ এক দশক আগে এই শহরে ছিল বহু সম্প্রদায়ের বাস৷ যুদ্ধের পর প্রায় ২ লক্ষ, অধিকাংশত সার্ব অধিবাসী তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়৷ সিনাইয়ের গ্রামে পুড়িয়ে দেয়া বাড়িঘরের ধ্বংসাবশেষ৷
মিত্রভিৎসায় অগ্নিদগ্ধ বাড়ি
কসভোর উত্তরে ইবার নদীর ধারে বিভক্ত শহর মিত্রভিৎসা৷ নদীর দক্ষিণ পারে বাস করে আলবেনিয়রা, উত্তরে সার্বরা৷ প্রায়শই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দেখা দেয় সংঘাত৷ সর্বশেষ গোলোযোগের সময় বেশকিছু আলবেনিয় দোকানপাটে আগুন লাগানো হয়৷
নিখোঁজ দেড় হাজার আলবেনিয়র ছবি
কসভোর রাজধানী প্রিস্টিনায় যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন আর খুব বেশি নেই৷ সরকারী কেন্দ্রীয় দপ্তরের সামনে দেড় হাজারেরও বেশি নিখোঁজ আলবেনিয়দের ছবি এখনো যুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করছে৷
রাজধানী প্রিস্টিনায় কনস্ট্রাকশনের কাজ
যুদ্ধের দশ বছর পর রাজধানী প্রিস্টিনায় চোখে পড়ে কসভোর অনেক বেশি প্রাণবন্ত ছবি৷ এই ছবিতে পুরনো ফুটবল স্টেডিয়ামের প্রায় প্রতিটি কোনায় নির্মাণ কাজ চলছে৷
প্রিস্টিনার কেন্দ্রীয় চার্চ
প্রিস্টিনার কেন্দ্রীয় অর্থোডক্স চার্চ ভবন৷
প্রিস্টিনার কেন্দ্রস্থলে রাজধানীর প্রধান মসজিদ
২০০৪ সালের মার্চ মাসের সংঘাতের সময় কসভোয় ৩৫টি সার্বিয় গীর্জা ও মঠ ধ্বংস হয়৷ ১৯৯৯ এর যুদ্ধকালে সার্বিয় পুলিশ ও সেনাবাহিনী প্রায় ১০০টি সমজিদ ধ্বংস করে৷ কসভোর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই মুসলমান, শুধু একটি সংখ্যালঘু অংশ ক্যাথলিক৷
প্রিৎসরেন শহরের প্রাচীন অংশের একটি রাস্তা
শহর জুড়ে ছবির মতো বহু ছোট ছোট রাস্তা৷ বাড়িঘরের উপর দিয়ে চলে গেছে বিদ্যুৎ-এর অসংখ্য তার৷ কসভোর রয়েছে বিপুল পরিমাণ কয়লা সম্পদ৷ কিন্তু বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো এতই পুরানো যে তা দিয়ে প্রয়োজন পুরন হয় না৷
মিত্রভিৎস শহরের প্রধান সেতু
শহরের এই প্রধান সেতুটি কসভোয় আলবেনিয় আর সার্বদের মধ্যকার বিভক্তির এক নেতিবাচক প্রতীক হয়ে আছে৷ সেতুটি অধিকাংশ সময় জনমানবহীন৷