চ্যাম্পিয়নস লিগও মাতিয়ে দিচ্ছে রবিন দত্তর দল
২০ অক্টোবর ২০১১শুরুটা মোটেই সুখকর হয় নি৷ ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথম আধ ঘণ্টা লেভারকুজেন বেশ বেকায়দায় পড়েছিল৷ তারপর ০-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে দল৷ তারপর পর পর দু'টি গোল করে ঘুরে দাঁড়ায় রবিন দত্তর দল৷ ৫৬তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি দেওয়ার পরেও অবশ্য দুশ্চিন্তা পুরোপুরি কাটে নি৷ এমনকি ম্যাচ চলাকালীন লেভারকুজেন'এর ফ্যানরা আশা ছেড়ে দিয়ে একে একে স্টেডিয়াম ছেড়ে বেরোতে শুরু করেছিলেন৷
এদিনের ম্যাচের অন্যতম প্রধান নায়ক ছিলেন মিশায়েল বালাক৷ তরুণদের দলে বয়সে একটু বড় হলেও তাঁর অভিজ্ঞতার পরিচয় এদিন আবার পাওয়া গেল৷ নিজে গোল না দিলেও সঠিক সময়ে সিডনি স্যাম'কে মোক্ষম পাস দিয়ে জয়সূচক গোলটি করতে সাহায্য করেন৷ গোল করে আবেগে আপ্লুত স্যাম কোচ রবিন দত্তের দিকে ছুটে যান৷ এর ৪ মিনিট আগে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করে আন্দ্রে শ্যুরলেও কোচের দিকে ধেয়ে গিয়েছিলেন৷ কোচের প্রতি প্রকাশ্যে এমন ভালবাসা সহজে দেখা যায় না৷ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নীরব থাকার পর খোদ বালাক বলেন, রবিন দত্ত টিমকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন এবং জয়ের স্পৃহা বাড়িয়ে দিয়েছেন৷ শুধু মাঠে নয়, কেবিনের মধ্যেও তিনি দলকে উজ্জীবিত করেছেন৷
জয় নিশ্চিত হয়ে যেতেই শিশুর মতো আনন্দে মেতে ওঠেন কোচ রবিন দত্ত ও তারকা খেলোয়াড় মিশায়েল বালাক৷ তারা পরস্পরকে আলিঙ্গন করে নাচতে শুরু করেন৷ এমন নির্ভেজাল আনন্দ সহজে দেখা যায় না৷ জয় সত্ত্বেও খেলার প্রথম দিকের অনিশ্চয়তার ফলে মোটেই পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয় অনেকেই৷ ভাগ্য সদয় না হলে খেলার মোড় সত্যি ঘুরে যেতে পারতো, এমনটা মনে করছেন লেভারকুজেন'এর অনেক খেলোয়াড়৷ তবে কথায় বলে, সব ভালো যার শেষ ভালো৷ কোচ রবিন দত্ত তাই টিমের জয়ের ফলে সন্তুষ্ট৷ এবার নজর দিতে হবে চ্যাম্পিয়নস লিগের আগামী পর্যায়ের দিকে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক