চীন-রাশিয়াকে আফগান আলোচনায় চায় জার্মানি
৩১ আগস্ট ২০২১জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দুইটি দেশের দূতাবাস এখনো কাবুলে খোলা। চীন এবং রাশিয়া। পশ্চিমা দেশগুলির অভিযোগ, দুইটি দেশই নিজেদের মতো করে তালেবানের সঙ্গে একপ্রকার রফাসূত্রে পৌঁছেছে। সে কারণেই তারা এখনো সেখানে দূতাবাস খোলা রেখেছে। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের জরুরি বৈঠকে এই দুই দেশকে সকলের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে, চার দিনের পাঁচ দেশ সফরে সোমবার হাইকো মাস কথা বলেছেন উজবেকিস্তানের প্রশাসনের সঙ্গে। মাস জানিয়েছেন, জার্মানিতে আফগান শরণার্থীপাঠানোর বিষয়ে উজবেকিস্তান সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে।
উজবেকিস্তানের প্রতিশ্রুতি
উজবেকিস্তান জানিয়েছে, আফগান শরণার্থীদের তাদের দেশের মাধ্যমে জার্মানিতে পাঠানোর ব্যবস্থা তারা করবে। আফগানিস্তানের সঙ্গে উজবেকিস্তানের সীমান্ত আছে। সেই সীমান্ত দিয়ে কীভাবে আফগান শরণার্থীদের উজবেকিস্তানে নিয়ে আসা হবে, সে বিষয়ে অবশ্য কোনো পক্ষই কিছু জানায়নি। তবে উজবেকিস্তান জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে আফগান শরণার্থীদের তাদের দেশে জায়গা দেওয়া হবে। তারপর কাগজপত্র পরীক্ষা করে তাদের জার্মানি এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
উজবেকদের চিন্তা
উজবেক সাধারণ মানুষ অবশ্য এখন আফগান শরণার্থী নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। ডিডাব্লিউয়ের রিপোর্টারকে সেখানকার সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন, তাদের ধারণা, দ্রুত দেশটি একটি আফগান শরণার্থী শিবিরে পরিণত হবে। কারণ, হাজার হাজার আফগান তাদের দেশের মাধ্যমে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
উজবেকিস্তান অবশ্য একটি কথা স্পষ্ট করে দিয়েছে। দীর্ঘদিনের জন্য তারা কোনো আফগান শরণার্থীকে দেশে রাখবে না। উজবেকিস্তানকে কেবল ট্রানসিট হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে।
এরপর কাতার
সোমবার উজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তান সফর করেছেন মাস। মঙ্গলবার তার কাতারে যাওয়ার কথা। কাতারে দেশের প্রশাসনের সঙ্গে কথা বললেও তালেবানের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন না। কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক দফতর আছে। এতদিন সেখান থেকেই তারা আলোচনা চালিয়েছে। মাস জানিয়েছেন, তালেবানের সঙ্গে কথা বলবেন জার্মান প্রতিনিধি মার্কুস পোটসেল। কাতারে মার্কুসের সঙ্গে বৈঠক করবেন মাস।
রাশিয়া এবং চীন নিয়ে মন্তব্য
অধিকাংশ পশ্চিমা দেশ একত্রে বৈঠক করে আফগানিস্তান নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে। জাতিসংঘে ইতিমধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সেখানে চীন এবং রাশিয়ার অবস্থান স্পষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে মাস চাইছেন রাশিয়া এবং চীনও এ বিষয়ে সহযোগিতা করুক। কারণ, আফগান প্রশ্নে রাশিয়া এবং চীনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। অভিযোগ, দুইটি দেশই তালেবানের সঙ্গে সমঝোতা সূত্রে পৌঁছেছে। সে কারণেই তারা এখনো আফগানিস্তানে নিজেদের দূতাবাস খুলে রেখেছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)