গৃহ নির্যাতন আইনের খসড়া
৩০ নভেম্বর ২০১৪দেশটিতে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা কর্মীরা সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন৷ পাশাপাশি, খসড়ায় কয়েকটি বিষয় স্থান না পাওয়ায় সে ব্যাপারে উদ্বেগও প্রকাশ করেন তাঁরা৷
বেইজিং ভিত্তিক ‘ম্যাপল ওমেনস সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিং সেন্টার' গৃহ নির্যাতন ইস্যু নিয়ে কাজ করা চীনের অন্যতম বড় একটি সংগঠন৷ তার এক কর্মকর্তা হু ঝিমিং বলেন, ‘‘অনেক বছর ধরে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আমরা আইনের অভাবে নিজেদের ক্ষমতাহীন ভাবতাম৷ এখন যদি খসড়াটি সত্যিই আইনে পরিণত হয় তাহলে আমরা খুব খুশি হব৷''
তবে প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়েছে, অবিবাহিত ও তালাকপ্রাপ্তরা এই আইনের সুবিধা পাবেন না৷ এ বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ৷ ইউএন ওমেন-এর চীনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইউলিয়া ব্রুসার্ড বলেন, ‘‘চীনা কর্মীদের এক যুগেরও বেশি সময় ধরে করা দাবির প্রেক্ষিতে খসড়া প্রকাশিত হওয়ায় জাতিসংঘ ‘রোমাঞ্চিত'৷ তবে আমরা দেখছি যে, পারিবারিক সম্পর্কের বাইরে যাঁরা আছেন তাঁরা এর আওতায় পড়বেন না৷ অথচ আমরা জানি, পারিবারিক সম্পর্কের বাইরেও গৃহ নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটে, যেমন ডেটিং, একসঙ্গে বসবাস কিংবা সমলিঙ্গের মধ্যে বিয়ে ইত্যাদি৷ ফলে আমাদের আশঙ্কা প্রস্তাবিত খসড়া পাস হলে তার সুবিধা থেকে একটা অংশ বাদ পড়ে যেতে পারে৷''
চীনের সরকারি সংবাদপত্র ‘চায়না ডেইলি'-তে প্রকাশিত একটি সংবাদ অনুযায়ী, সে দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ নারী, যাঁরা বিবাহিত কিংবা একটা সম্পর্কে জড়িত, তাঁরা শারীরিক অথবা যৌন সহিংসতার শিকার হয়ে থাকেন৷
প্রস্তাবিত খসড়ায় কোন বিষয়গুলো গৃহ নির্যাতন কিংবা পারিবারিক সহিংসতার মধ্যে পড়বে, তা বলে দেয়া আছে৷ বর্তমানে এসবের অভাবে নির্যাতিতরা অভিযোগ করেও কোনো বিচার পান না৷ শুধুমাত্র মারাত্মকভাবে আহত হলেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে থাকে৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি)