চীনের মোকাবিলায় তাইওয়ানের প্রতিরোধ ব্যবস্থা
১০ নভেম্বর ২০২১সামরিক শক্তি দেখিয়ে ও জনমতকে প্রভাবিত করে তাইওয়ানকে দখল করতে চাইছে চীন। অভিযোগ তাইওয়ানের। মঙ্গলবার তারা জানিয়েছে, বেইজিং ‘গ্রে জোন’ কৌশল নিয়েছে। ‘গ্রে জোন’ কৌশল হলো শান্তি ও যুদ্ধের মধ্যবর্তী অবস্থা, যেখানে দুইটি রাষ্ট্র একে অপরের বিরুদ্ধে বিবাদে জড়ায়। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের সেনার উপর চাপ দেয়ার জন্যই চীন ‘গ্রে জোন’ নীতি নিয়েছে।
চীনের দাবি, তাইওয়ান তাদেরই এলাকা।
তাইওয়ানের সেনার রিপোর্টটি দুইশ পাতার। তার প্রস্তাবনায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে শক্তিপ্রদর্শনের পথ ছেড়ে দেয়ার কথা চীন বলেনি। বেইজিং তার সামরিক শক্তি সমানে বাড়াচ্ছে। তারা তাইওয়ানের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাইওয়ান কী বলছে
তাইওয়ান জানিয়েছে, তারাও উপযুক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলছে। চীনের যুদ্ধবিমান বারবার তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোনে ঢুকে পড়ছে। চীন সাইবার যুদ্ধও চালাচ্ছে।
তাইওয়ান জানিয়েছে, তারা সেনাবাহিনীকে দ্রুত লড়াকু বাহিনীতে পরিণত করছে। তারা জাতীয় সুরক্ষার বিষয়টিও ঢেলে সাজাচ্ছে। তারা অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কিনছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে সাবমেরিন বানাচ্ছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের অগাস্ট পর্যন্ত চীনের যুদ্ধবিমান ৫৫৪ বার তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোনে প্রবেশ করেছে।
চীনের হুমকি
চীন বারবার তাইওয়ানের কাছে সামরিক মহড়া করছে। যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে। গত অক্টোবরে চীনের জাতীয় দিবসের সময় ১৪৯টি চীনা যুদ্ধবিমান দক্ষিণ-পশ্চিম তাইওয়ানে যায়। তারা স্ট্রাইক গ্রুপ ফর্মেশন করে। এর ফলে তাইওয়ানে আতঙ্ক ছড়ায়। বিমান প্রতিরক্ষা মিসাইল ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে তাইওয়ান।
তাইওয়ান সামরিক সাহায্যের জন্য পুরোপুরি অ্যামেরিকার উপর নির্ভরশীল। তা সত্ত্বেও দেশের সরকার এখন দেশীয় প্রযুক্তিতে সমরাস্ত্র বানাবার উপর জোর দিয়েছে। তারা শক্তিশালী সাবমেরিনও বানাচ্ছে।
জিএইচ/এসজি(এপি, ডিপিএ)