রকেট প্রযুক্তি
২৯ নভেম্বর ২০১২ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা সম্প্রতি ঐ কোম্পানির কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছে৷
ব্রিটিশ ঐ কোম্পানির নাম ‘রিঅ্যাকশন ইঞ্জিনস লিমিটেড'৷ তারা যে ইঞ্জিন তৈরির কাজ করছে তার নাম ‘সেবার'৷ এর ক্ষমতা হবে বর্তমানে জেট ইঞ্জিনের চেয়ে দ্বিগুন৷ অর্থাৎ জেট ইঞ্জিনের মাধ্যমে বর্তমানে শব্দের গতির চেয়ে আড়াই গুন বেশি গতি অর্জন করা যায়৷ সেবার-এর মাধ্যমে ঐ গতিটা বাড়িয়ে পাঁচগুন করা যাবে বলে দাবি ব্রিটিশ ঐ কোম্পানিটির৷
কিন্তু কীভাবে? রিঅ্যাকশন ইঞ্জিনস বলছে, গতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে অনেকগুলো সমস্যার মধ্যে একটা হলো, এর ফলে বাইরের তাপমাত্রা বেড়ে এক হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যেতে পারে৷ সেক্ষেত্রে ইঞ্জিনটা গলে যাবে৷
সেবার ইঞ্জিনের জন্য এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে যার কারণে মুহূর্তের মধ্যেই তাপমাত্রা কমিয়ে আনা যাবে৷ নতুন প্রযুক্তি দিয়ে এক সেকেন্ডের একশো ভাগের এক ভাগ সময়ের মধ্যে এক হাজার ডিগ্রি তাপমাত্রাকে মাইনাস ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নামিয়ে আনা যাবে – এমনটাই বলছেন রিঅ্যাকশন ইঞ্জিনস কোম্পানির কর্মকর্তারা৷
তাদের এই প্রযুক্তি ঠিকভাবে কাজ করছে বলে রায় দিয়েছে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা, ইসা৷ সম্প্রতি তারা ঐ প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখেছে৷
কোম্পানি বলছে, তাদের প্রযুক্তির পুরোপুরি উন্নয়নের জন্য আগামী তিন বছরে চারশো মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন পড়বে৷ এজন্য তারা ব্যক্তিগত সূত্র থেকে শুরু করে সরকারি বিনিয়োগও আশা করছে৷ সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে সেবার ইঞ্জিন বাস্তবে রূপ দেয়া সম্ভব হবে বলে কোম্পানির কর্মকর্তারা আশা করছেন৷
রিঅ্যাকশন ইঞ্জিনসের আশা, এই ইঞ্জিন দিয়ে বছরে ১১২ বিলিয়ন ডলারের বাজার ধরা যাবে৷ মহাকাশ যাত্রা, হাইপারসনিক বিমান, জ্বালানি সাশ্রয়ী জেট ইঞ্জিন ও মধ্যপ্রাচ্যে সাগরের পানি খাবার যোগ্য করার প্রণালী – এই চারটি ক্ষেত্রে সেবার ইঞ্জিনকে কাজে লাগানো যাবে৷
সেবার ইঞ্জিন উদ্ভাবনের খবরে ইতিমধ্যে বিমান চলাচল খাতের ব্যবসায়ীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে৷ কেননা এর ফলে জ্বালানি ব্যয় কমবে বর্তমানের চেয়ে প্রায় পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ৷ টাকার অংক যার পরিমাণ ১০ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার৷
জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স)