চাকরির নিরাপত্তার দাবিতে লুফৎহানসা’র পাইলটদের ধর্মঘট
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০সোমবার দুপুর পর্যন্ত পরিকল্পিত ফ্লাইটসূচির বেশ কিছুটা রক্ষা করা সম্ভব হয় বলে দাবি করেছে লুফৎহানসা৷ সংস্থার একজন মুখপাত্র বলেন, যাত্রীরা ধর্মঘটের ব্যাপারে প্রস্তুত হয়ে ছিলেন৷ কেননা তাদের আগেই একথা জানিয়ে দেয়া হয়েছিল৷ পাইলটদের ধর্মঘট অযৌক্তিক এই আখ্যা দিয়ে লুফৎহানসা শ্রমিক আদালতে মামলা করেছে৷ ক্ষতির হাত থেকে সংস্থাকে রক্ষা করতেই এই মামলা, জানিয়েছেন মুখপাত্র৷
লুফৎহানসা কর্তৃপক্ষ কর্মী খাতে ব্যয় কমাতে অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইন্স অথবা লুফৎহানসা ইটালিয়ার মত অঙ্গ সংস্থাগুলোতে চাকরি সরিয়ে নিতে পারে, এরকম উদ্বেগের মাঝে প্রায় চার হাজার জার্মান পাইলট তাদের কর্মী ইউনিয়ন ককপিট'এর আহ্বানে রবিবার রাত বারোটার পর থেকেই ধর্মঘট শুরু করেন৷
ককপিট'এর মুখপাত্র আলেকজান্ডার গেয়ারহার্ড-মাজিদি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘ধর্মঘট চলছে পরিকল্পনা মতই৷ অর্থাৎ ফ্লাইট চার্ট দেখলেই বোঝা যায় যে লুফৎহানসার বহু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে৷ তবে সুখের কথা, বড় রকমের কোন অরাজক অবস্থা দেখা দেয় নি৷ আমরা আগে থেকেই ধর্মঘটের ঘোষণা এমনভাবে প্রচার করেছি যাতে আমাদের যাত্রীরা তাঁদের ফ্লাইটসূচি বদলে ফেলতে পারেন৷ এটাও ধর্মঘটের সাফল্যোর একটি কারণ৷''
বিমান বন্দরের টার্মিনালে বহু যাত্রীকেই অসীম বিরক্তি নিয়ে অপেক্ষা করতে গেছে৷ বার্লিন-টেগেল বিমান বন্দরে একজন যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি আগেই টিকিট পাল্টে নিয়েছিলাম৷ কিন্তু এখন দেখছি এই ফ্লাইটও বাতিল হয়ে গেছে৷
পাইলটদের ধর্মঘটে যে কিছু ফল ফলেছে এতে কোন সন্দেহ নেই৷ লুফৎহানসাকে তার জরুরি ফ্লাইটসূচির কিছু ফ্লাইটও বাতিল করতে হয়েছে৷ এক হাজার আটশোর মত লুফৎহানসা ফ্লাইটের মধ্যে প্রায় প্রতি দ্বিতীয় ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে বলে অনুমান৷
লুফৎহানসার পরিচালনা কর্তৃপক্ষ পাইলটদের দাবির কাছে মাথা নোয়াতে রাজি নয়৷ তাঁরা অপেক্ষা করছেন, শ্রমিক আদালতে তাদের দায়ের করা মামলায় কী সিদ্ধান্ত হয়৷ পাইলট ইউনিয়ন মামলা হতে পারে এই আশঙ্কায় আগে থেকেই আইনি ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছিল৷ ফ্রাংকফুর্ট শহরে লুফৎহানসা সদর দপ্তরের সামনে ধর্মঘটী বহু পাইলট বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন৷
লুফৎহানসা আশঙ্কা করছে, এই ধর্মঘটের ফলে তার দশ কোটি ইউরো ক্ষতি হতে পারে৷ এছাড়া টিকিট বিক্রিও কমে যাবে, ক্ষুণ্ণ হবে তার সম্মান, বলছে লুফৎহানসা৷
প্রতিবেদক : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
সম্পাদনা : আবদুস সাত্তার