1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাকরির উপদেশ দিয়ে তোপের মুখে ফ্রান্সের মাক্রোঁ

১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

এক চাকরিপ্রত্যাশীকে উপদেশ দিয়ে নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ৷ তরুণ এই চাকরিপ্রর্থীকে তিনি বলেছেন, রাস্তা পেরোলোই চাকরি খুঁজে পাওয়া সম্ভব৷

https://p.dw.com/p/34zkS
Frankreich Tag der Offenen Tür im Elysée-Palast | Emmanuel Macron, Präsident
ছবি: Reuters/A.C. Poujoulat

এলিসি প্রাসাদের সামনে জনগণের সাথে উন্মুক্ত আলোচনার সময় এই তরুণের সাথে কথা বলেন মাক্রোঁ৷ এই পুরো কথোপকথনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে৷ মাক্রোঁর সমালোচকরা ‘গরীবের প্রেসিডেন্ট' আখ্যা দিয়ে তাঁর তীব্র সমালোচনা করেছেন৷

প্রেসিডেন্টের সাথে নিজেদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে দেশটির ‘ঐতিহ্য দিবসে' যে কেউ হাজির হতে পারেন এলিসি প্রাসাদের সামনে৷ রোববার ছিল এমনই এক দিন৷ চাকরি না পাওয়া নিয়ে এক তরুণ অভিযোগ করেন মাক্রোঁর কাছে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার বয়স ২৫ বছর৷ আমি বিভিন্ন জায়গায় আমার সিভি পাঠিয়েও কোনো ফল পাচ্ছি না৷''

জবাবে মাক্রোঁ তাঁকে বলেন, হসপিটালিটি এবং নির্মাণ কাজের মতো খাতগুলিতে সহজেই চাকরি খুজে পাওয়া সম্ভব৷ বলেন, ‘‘যদি আপনার সত্যিকার ইচ্ছা থাকে, তাহলে রেস্টুরেন্ট, কন্সট্রাকশন, এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আমি গিয়ে জনবলের অভাব দেখিনি৷ একটাও না, বিশ্বাস করুন৷''

মাক্রোঁ তরুণকে ক্যাফে ও রেস্টুরেন্টে ভরপুর প্যারিসের মঁপারনাস এলাকায় খোঁজ নেয়ার পরামর্শও দেন৷ কাজ খুঁজে পাওয়ার নিস্চয়তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘রাস্তা পেরোলেই আমি কাজ খুঁজে দিতে পারবো৷''

তীব্র সমালোচনা

এই কথোপকথন গুলির বেগে ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে৷ সমালোচকরা বলছেন, সাধারণ জনগণ থেকে অনেক দূরে অবস্থান করাতেই এ ধরনের কথা বলতে পেরেছেন মাক্রোঁ৷

সমাজতন্ত্রী আইনপ্রণেতা ইয়ান বোঁসাঁর অভিযোগ, আসল সমস্যার দিকে নজর না দিয়ে প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ সেই তরুকেই অপরাধী প্রমাণ করার চেষ্টা চালিয়েছেন৷

এক টুইটার ব্যবহারকারী ম্যাক্রোঁ ‘‘ফরাসিদের বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করেন'' বলে অভিযোগ করেছেন৷ আরেকজন প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘মাত্র ৩০ সেকেন্ডে কিভাবে একজন ব্যক্তি এতটা অবমাননা, সমানুভূতির অভাব এবং অজ্ঞতা দেখাতে পারেন?'

মাক্রোঁর দল রিপাবলিক অন দ্য মুভ-এর প্রধান ক্রিস্টোফ কাস্টানেয়ার অবশ্য এসব অভিযোগের তীব্র বিরোধিতা করেছেন৷ ফরাসি ব্রডকাস্টার আরটিএলকে তিনি পালটা প্রশ্ন করেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট যা বলেছেন তা কি ভুল ছিল? মঁপারনাস এলাকায় কি আসলেই কর্মজীবী খোঁজা হচ্ছে না?''

তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা কি ফাঁকা বুলি শুনতে চেয়েছিলেন? আমি এমন একজন প্রেসিডেন্টকেই পছন্দ করি, যিনি সত্যি কথাটাই বলেন৷''

অবশ্য শিল্পখাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্রান্সের হসপিটালিটি খাতে এখনও প্রায় এক লাখের মতো হোটেল ও রেস্টুরেন্টের চাকরি খালি রয়েছে৷ এমনকি কর্মকর্তারা অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করে সেসব শুন্য পদে নিয়োগের আহ্বানও জানিয়েছেন৷

মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাকে উড়িয়ে দিয়ে মন্তব্য করায় এর আগেও সমালোচনার মুখে পড়েছেন মাক্রোঁ৷ একবার তাঁর অর্থনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়ার বিরোধিতাকারীদের ‘অলস' বলেছিলেন তিনি৷ আরেকবার বিভিন্ন ইউনিয়ন গ্রুপকে নতুন কাজ খোঁজার চেয়ে ‘সমস্যা সৃষ্টি করায় বেশি মনোযোগী' বলে অভিযোগ করেন৷

এডিকে/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান