চলে গেলেন সাবেক বিশ্বসেরা মুষ্টিযোদ্ধা জো ফ্রেজিয়ার
৮ নভেম্বর ২০১১মাত্র এক মাস আগে যকৃতে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রেজিয়ারের৷ এরপর চিকিৎসারত অবস্থায় সোমবার ফিলাডেলফিয়ায় মারা গেলেন ফ্রেজিয়ার৷ তাঁর মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন অপর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তারকা মোহাম্মদ আলিসহ ক্রীড়া জগতের নেতৃবৃন্দ৷ এক বিবৃতিতে মুষ্টিযোদ্ধা আলি বলেন, ‘‘বিশ্ব এক মহান ক্রীড়াবিদকে হারালো৷ আমি সবসময় ভক্তি ও শ্রদ্ধাভরে জো'কে স্মরণ করবো৷ তাঁর পরিবারের সদস্যদের এবং ভক্তদের প্রতি জানাই আমার সমবেদনা৷''
মার্কিন অলিম্পিক পরিষদের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা প্যাট্রিক স্যান্ডাস্কি বলেন, ‘‘কিংবদন্তি অলিম্পিক সেরা তারকার মৃত্যুতে আমরা সকলে শোকাহত৷'' ফ্রেজিয়ারের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাঁর মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন মুষ্টিযুদ্ধে বর্তমান বিশ্বসেরা ফ্লয়েড মেওয়েদার জুনিয়র৷ টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘‘মহান জো ফ্রেজিয়ারের পরিবারের প্রতি জানাই সমবেদনা৷'' ‘দ্য মানি টিম' ফ্রেজিয়ারের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার খরচ বহন করবে বলেও জানিয়েছেন ফ্লয়েড৷
১৯৪৪ সালে সাউথ ক্যারোলিনায় জন্ম ফ্রেজিয়ারের৷ ফ্রেজিয়ারই প্রথম বিশ্বসেরা মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলিকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন৷ ২০০৬ সালেও তাই নিউইয়র্ক টাইমস'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফ্রেজিয়ার গর্ব করে বলেছিলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমিই আলিকে তিন বার হারিয়েছিলাম৷''
১৯৬৪ সালে টোকিও'তে অনুষ্ঠিত অলিম্পিক হেভিওয়েট বক্সিং-এ অ্যামেরিকার পক্ষে স্বর্ণপদক জয় করেছিলেন ফ্রেজিয়ার৷ এছাড়া ১৯৭০ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত মুষ্টিযুদ্ধে বিশ্ব সেরা ছিলেন৷ তবে ১৯৭৩ সালে জর্জ ফোরম্যানের কাছে পরাজিত হন ফ্রেজিয়ার৷ ১৯৭৪ সালেও আলির কাছে হেরে যান তিনি৷ এরপর ১৯৭৬ সালে ফোরম্যানের কাছে দ্বিতীয়বার পরাজিত হলে মুষ্টিযুদ্ধ থেকে অবসর নেন তিনি৷ অবশ্য ১৯৮১ সালে আরো একবার মুষ্টিযুদ্ধে নেমেছিলেন ফ্রেজিয়ার৷ কিন্তু এর পরে আর বক্সিং রিং-এ ফিরে আসেননি৷ উল্লেখ্য, আলি এবং ফোরম্যান ছাড়া আর কেউ ফ্রেজিয়ারকে কখনও হারাতে পারেনি৷
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ফিলাডেলফিয়ার একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন যার নীচেই ছিল তরুণদের জন্য তাঁর মুষ্টিযুদ্ধ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক