দক্ষিণ কোরিয়া সফরে পেন্স
১৭ এপ্রিল ২০১৭গত জানুয়ারি মাসে উপরাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর পেন্স এই প্রথম কোরিয়া উপদ্বীপে পদার্পণ করলেন৷ জাতিসংঘের মার্কিন নেতৃত্বাধীন কমান্ড পোস্ট ক্যাম্প বোনিফাস-এ আসাটা তাঁর আবেগকেও কিছুটা নাড়া দিয়েছে, কেননা তাঁর বাবা কোরিয়া যুদ্ধের সময় সামরিক সেবায় নিযুক্ত ছিলেন৷
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়ে পেন্স বলেন, ‘‘কোরিয়ায় মার্কিন সেনাবাহিনী এবং কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সেনাবাহিনীর মধ্যে মৈত্রী ঐতিহাসিক'' এবং ‘‘আমাদের দুই (দেশের) জনগণের মধ্যে অটল বন্ধনের সাক্ষী৷''
‘‘(দক্ষিণ কোরিয়ার) জনগণের জন্য দেশের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা এবং (অপরাপর) লক্ষ্য অর্জনের জন্য সব সম্ভাব্য পন্থাই বিবেচনা করা হচ্ছে,'' বলেন পেন্স৷ উত্তর কেরিয়া সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য: ‘‘রণকৌশলগত ধৈর্য্যের যুগ শেষ হয়েছে৷''
মার্কিন সৈন্যদের সমীপে পেন্স উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে একটি ‘প্ররোচনা' বলে অভিহিত করেন৷ তাঁর দৃষ্টিতে ‘‘প্রত্যেক মার্কিন সৈন্য দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের স্বাধীনতা ও অ্যামেরিকার প্রতিরক্ষার জন্য বিশ্বের এই অংশে প্রতিদিন যেসব ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে'', এই প্ররোচনা তার সর্বাধুনিক স্মারক বলে মনে করেন পেন্স৷
সোমবার পেন্স দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হোয়াং কিও-আন-এর সঙ্গে ডিমিলিটারাইজড জোন, অর্থাৎ উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করছেন৷ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাঁর ১০ দিনের সফরে পেন্স এরপর যাবেন জাপান, ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায়৷
ওদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টার রবিবার বলেছেন, ‘‘আমার মতে এখন একটি আন্তর্জাতিক সমঝোতা সৃষ্টি হয়েছে – চীনও যার অঙ্গ – যে এটা এমন একটা পরিস্থিতি, যা কোনোমতেই চলতে পারে না৷''
এসি/এসিবি (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)