ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ৩ নম্বর সংকেত
২৫ মে ২০২১আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে৷ সাথে বেশি উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে উপকূলের নিচু এলাকাগুলো৷
ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হতে পারে৷চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর৷ বন্দর ও বন্দরে নোঙ্গর করা জাহাজগুলো দুর্যোগ কবলিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং ঘূর্ণি বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার হতে পারে৷
বুধবার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ এবং ওড়িশার পারাদ্বীপের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে উপকূল পেরিয়ে স্থলভাগে উঠে আসতে পারে৷ বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস বলছে, মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার৷
এ পরিস্থিতিতে উত্তর বঙ্গোসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে৷ আবহাওয়ার সংকেত পাওয়ার পর সারাদেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ৷
সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এরইমধ্যে উপকূলীয় জেলাগুলোর নদনদীর পানি ফুলে ওঠার খবর আসছে৷ খুলনা, বরিশাল, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্রগ্রাম, চাঁদপুর, কক্সবাজার, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর এবং কুষ্টিয়া নদী বন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুশিয়ারী সংকেত এবং দেশের অন্যান্য নদী বন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে৷
পূর্ণিমা যোগ
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার সময় খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের সঙ্গে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে৷পূর্ণিমার প্রভাবে উপকূলীয় জেলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুটের বেশি উচ্চতার জোয়ার প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার বিভাগে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি এবং মাঠ পর্যায়ের সব সরকারি কর্মকর্তাদের সার্বিকভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম৷করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গেও ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷
তাপমাত্রাও কমছে
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে৷ দিনের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে সারাদেশে৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)