1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম

হেনড্রিক হাইনৎসে/এসি১৪ জুন ২০১৩

বাংলাদেশের সঙ্গে গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামের সম্পর্ক কী? পশ্চিমা মিডিয়া বাংলাদেশের গার্মেন্টসকর্মীদের কাহিনি কতোটা শোনাতে পেরেছে, বোঝাতে পেরেছে? এসবেরই উত্তর খুঁজবে জিএমএফ৷

https://p.dw.com/p/18ozC

সুদূর দক্ষিণ এশিয়ায় কী ঘটছে, তার খবর ইউরোপের মানুষকে দেওয়াটাই কি একটা সূচনা নয়? সেখান থেকেই হয়ত অন্য ধরনের একটা চিন্তাধারা, এমনকি পরিবর্তনের সূচনা ঘটতে পারে৷

রাইন নদের ধারে ‘‘জলের কল''

আগামী ১৭ থেকে ১৯ জুন সেখানেই বসবে গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম বা জিএমএফ৷ আমরা – অর্থাৎ বিশ্বের মানুষ – আগামীতে কিভাবে বাঁচবো, কাজকর্ম, ব্যবসা-বাণিজ্য করব, তাই নিয়েই হবে আলোচনা৷ ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক ও জিএমএফ-এর উদ্যোক্তা এরিক বেটারমান যেমন বলেছেন: ‘‘জিএমএফ হলো বিভিন্ন পেশার মানুষদের একসঙ্গে আনার একটা প্রচেষ্টা৷ এমন সব মানুষ, যারা সাধারণত পরস্পরের সঙ্গে এক টেবিলে বসেন না, যেমন মিডিয়া, অর্থনীতি, রাজনীতি এবং উন্নয়নের কাজে সংশ্লিষ্ট মানুষ৷''

USA Professor für Linguistik Noam Chomsky
নোয়াম চমস্কি উপস্থিত থাকবেন মিডিয়া ফোরামেছবি: Virginie Montet/AFP/Getty Images

গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামের নির্ঘণ্ট দেখলেই তা বোঝা যাবে৷ যতটা কম বাধ্যবাধকতা থাকে, ততই ভালো, বলেন বেটারমান৷ ‘‘উদ্যোক্তা হিসেবে আমরা আলোচনার বিষয়সূচি বেঁধে দিইনি৷ বরং বহু ওয়ার্কিং গ্রুপ রেখেছি, যাতে সব অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের নিজস্ব অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পান৷ সেটাই হল জিএমএফ-এর বিশেষত্ব৷''

৫০টির বেশি আয়োজন-অনুষ্ঠান, তার মধ্যে ৪০টি ওয়ার্কিং গ্রুপ৷ জিএমএফ-এর ষষ্ঠ সংস্করণে অংশ নিচ্ছেন দুই হাজারের বেশি প্রতিনিধি৷ মূল বৈঠক বসবে জার্মানির সাবেক রাজধানী বন শহরের তথাকথিত ‘‘জলের কলে'', যে ভবনটিতে এককালে জার্মান সংসদের অধিবেশন হয়েছে৷ সম্মেলনের ভাষা হল ইংরিজি৷ মটো হলো, ‘‘প্রবৃদ্ধির ভবিষ্যৎ: অর্থনৈতিক মূল্যবোধ ও মিডিয়া''৷

যে কোনো মূল্যে প্রবৃদ্ধি?

ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক বেটারমান তাঁর উদ্বোধনী মুখবন্ধেই সে প্রশ্ন তুলেছেন: ‘‘ক্রমবর্ধমান সমৃদ্ধি কি একমাত্র প্রবৃদ্ধির মাধ্যমেই সম্ভব?'' এবং সে প্রবৃদ্ধি কি ‘সবুজ', অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব এবং টেঁকসই হতে হবে? এ প্রশ্ন তুলেছেন বন শহরের মেয়র ইয়ুর্গেন নিম্পচ৷ উত্তর যাদের কাছ থেকে পাবার আশা করা যেতে পারে, তাদের মধ্যে থাকছেন বিকল্প নোবেল পুরস্কারের প্রতিষ্ঠাতা ইয়াকোব ফন উয়েক্সক্যুল৷

এক মার্কিন গবেষক আর এক রুশ সাংবাদিক প্রস্তাব দেবেন: পণ্য আর পরিষেবার মাপকাঠিতে প্রবৃদ্ধির বিচার না করে জাতীয় মঙ্গল ও সন্তোষের মাপকাঠিতে বিচার করা হোক৷ প্রবৃদ্ধির সঙ্গে নারী-পুরুষের সমানাধিকারের প্রশ্নটাকে যুক্ত করার প্রস্তাবও রাখা হবে আরেক তরফ থেকে৷

কেউ মরু বিশেষজ্ঞ, কেউ চীনের ভিন্নমতাবলম্বী

উঠবে জনস্বাস্থ্যের, অথবা জ্বালানির প্রশ্ন৷ ফিলিপিনের টেলিফোন ডাক্তারের সঙ্গে মোলাকাত হবে চাড-এর মানবাধিকার আন্দোলনকারীর; নাইজিরিয়ার ক্যাথলিক যাজকের সঙ্গে দেখা হবে ভারতের গবেষকের৷ নানা দেশের, নানা পেশার, ধর্ম, ভাষা, মতবাদ, মনোভাবের মানুষ৷ আসবেন ডয়চে ভেলের বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫,০০০ ‘‘পুনর্সম্প্রচারকদের'' প্রতিনিধিরা৷ লাস্ট বাট নট লিস্ট, বব্স পুরস্কার বিজয়ীদের দেখা পাওয়া যাবে জিএমএফ-এর এই আসরে৷ আর সকলে মিলে যাওয়া যাবে রাইন নদের বুকে নৌকাবিহারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য