গ্রিসে শরনার্থী শিবিরে আগুন
৯ সেপ্টেম্বর ২০২০গ্রিসের লেসবস দ্বীপে সব চেয়ে বড় শরণার্থী শিবির রয়েছে। সেখানেই বুধবার আগুন লাগে। দমকলের অভিযোগ, আগুন নেভাতে যাওয়ার পর তাদের বাধা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়ায় এমন অভিযোগও উঠছে, করোনা নিয়ে কড়াকড়ির প্রতিবাদে এখানে আগুন লাগানো হয়েছে। গত সপ্তাহে করোনা নিয়ে এই শিবিরগুলিতে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি।
এই সপ্তাহের গোড়ায় মোরিয়া শিবিরে একজন সোমালি শরণার্থীর করোনা ধরা পড়ে। তারপরই সেখানে প্রচুর কড়াকড়ি চালু করা হয়েছে।
মোরিয়াতে ১২ হাজার শরণার্থী বিভিন্ন শিবিরে আছেন। তাঁরা সকলেই আশ্রয়প্রার্থী। অনেকেই ইরাক ও সিরিয়া থেকে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পালিয়ে এসেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলির মতে, এই শিবিরে গাদাগাদি করে মানুষ থাকছেন। এখান থেকে কিছু উদ্বাস্তুকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও তাঁরা সরকারকে বলেছেন। কিন্তু সরকার সেই অনুরোধে কান দেয়নি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক ইভা কোসি বলেছেন, শরণার্থী শিবিরের যা অবস্থা তাতে সেখানে জনস্বাস্থ্য বজায় রাখা অসম্ভব। করোনার মোকাবিলায় যে নির্দেশ জারি করা হয়েছে, তাও মানা সম্ভব নয়। তাঁর মতে, এই জনবহুল ক্যাম্পে কড়াকড়ি মানা যায় না। এখানে মানুষকে নিভৃতবাসে পাঠানোই সম্ভব নয়।
জার্মানির গ্রিন পার্টির নেতা বলেছেন, মোরিয়ায় শরণার্থীদের অবস্থা নিয়ে ইউরোপের দেশগুলির সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারা সেই কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে। মোরিয়া সবসময়ই জ্বলছে। তবে সেই আগুন হলো ক্ষোভের আগুন।
জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, এএফপি)