গোয়েটে ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে ঢাকা সেইফ এন্ড সাউন্ড
২২ অক্টোবর ২০১০১৮ই অক্টোবর সন্ধ্যায় ঢাকায় জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গোয়েটে ইন্সটিউট ভরে ওঠে বিশিষ্টজনের সমাবেশে৷ ব্যান্ডের তালে মোহনীয় সুরে উদ্বোধন করা হয় ‘ঢাকা সেইফ এন্ড সাউন্ড' শিরোনামে ১৪দিনের এক অনুষ্ঠানমালার৷ চিত্র প্রদর্শনী, আলোকচিত্র, থিয়েটার, নাটক, শর্টফিল্ম, সিনেমা, সংগীত, সেমিনার, শিশুদের চিত্রাংকন সবই আছে এই আয়োজনে৷
শুধু ধানমন্ডির গোয়েটে ইন্সটিউটে জায়গা না হওয়ায় আয়োজন বিস্তৃত করা হয়েছে শিল্পাঙ্গন গ্যালারি এবং ঢাকা আর্ট সেন্টারে৷ গোয়েটে ইন্সটিউটের পরিচালক আঙ্গেলা গ্রুনার্ড জানান, বছরব্যাপী তারা ঢাকার পরিবেশ এবং সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করেছেন৷ তারই সম্মিলিত উপন্থাপনা করা হয়েছে এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে৷ তিনি বলেন, পরিবেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বদলে দিচ্ছে বিশ্ব পরিস্থিতি৷ জার্মানরা এ নিয়ে উদ্বিগ্ন৷
খ্যাতিমান কার্টুনিষ্ট রফিক উন নবী যাকে সবাই র'নবী বলে জানেন তিনিও সামিল হন এই আয়োজনে৷ ধানমন্ডির গোয়েটে ইন্সটিউটের সামনের সড়কে বড় ক্যানভাসে তাঁর কার্টুন টোকাই এঁকে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন তিনি৷ তাঁর সঙ্গে ছবি আঁকেন আরো অনেকে৷ শিল্পী রফিক উন নবী বলেন, পরিবেশ রক্ষায় শিল্পীদের এক মঞ্চে আনার এটি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ৷
দ্য ডেইলি ষ্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম এই আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকার বাসিন্দাদের পরিবেশ রক্ষায় দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান৷
আর চিত্রশিল্পী গুলশান হোসেন তাঁর তুলির আঁচড়ে পরিবেশ রক্ষার কথাই বলেছেন৷ তিনি বলেন, শিল্পীদের বেশি করে পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে৷
আলোকচিত্র আর চিত্র প্রদর্শনী দেখতে আসা জার্মান তরুণী আস্ট্রিড অবশ্য ঢাকা শহর দেখে মুগ্ধ ৷ তার মতে এখানে অনেক ট্রাফিক জ্যাম, তবুও এখানে সবাই কাজ করছেন, বসে নেই৷ প্রদর্শনীর নানা দিক তাকে আনন্দ দেয়৷ তিনিও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বিগ্ন৷
অনুষ্ঠানে আসা দর্শনার্থী শরীফ আলমগীর হোসেন ঢাকায় অনেকদিন ধরে বসবাস করছেন৷এধরনের আয়োজনের প্রশংসা করলেও সরকার উদ্যোগী না হলে আদৌ ঢাকার পরিবেশের কোন উন্নতি হবে কিনা তা নিয়ে তার সংশয় রয়েছে৷ তিনি মনে করেন, ঢাকা অনেকটাই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে৷ বিশেষ করে নগরীর স্বাস্থ্য সমস্যা এখন প্রকট৷
গোয়েটে ইন্সটিউটের এই আয়োজন চলবে মাসের শেষদিন পর্যন্ত৷ প্রদর্শনী খোলা থাকছে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত৷ একই সঙ্গে থাকছে নানা অনুষ্ঠান৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক