ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হবে?
১১ আগস্ট ২০১৬গুলশান হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) আয়োজিত এক সভায় তিনি বলেন, ‘‘গুলশান হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদারে সংকল্পবদ্ধ ইইউ৷''
তাঁর কথায়, ‘‘গুলশান হামলায় যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁরা শহিদ৷ তাঁরা তাঁদের রক্ত দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের শক্তিশালী সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে৷ তাঁদের আত্মত্যাগ আমাদের জন্য বাড়তি বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে, যা কিনা ঐক্যের বাধ্যবাধকতা৷''
ইইউ দূত বলেন, ‘‘সন্ত্রাসীদের শিক্ষা দিতে বাংলাদেশের জন্য একত্রিত হতে হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে৷'' তাঁর মতে, ‘‘এই আন্তর্জাতিক ঐক্যের মাধ্যমের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা হতে পারে৷ গুলশান হামলার সর্বোচ্চ মানের তদন্তের জন্য যা অত্যন্ত জরুরি৷''
নিহতদের এই স্মরণ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট, ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শিংলাও বক্তব্য দেন৷
মার্শিয়া বার্নিকাট সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের অবস্থান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘চলমান অনিশ্চয়তার জবাব ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে সাধারণ মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার মধ্য দিয়ে হবে না৷ বরং ইইউ একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ হিসেবে এই সংকট উত্তরণে এবং দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করবে৷''
ইইউ দূতের বক্তব্য প্রসঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি বিষয়ক গবেষক এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক নূর খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের কোনো একক সমস্যা নয়৷ এটা সারা বিশ্বের সমস্যা৷ তাই জঙ্গি দমনে সবাই মিলে কাজ করাই বাস্তবসম্মত৷ একমাত্র সকলে মিলে কাজ করলেই নানা ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো যায়৷''
যেমন তাঁর কথায়, ‘‘অপরাধীদের আটক করার জন্য এক দেশ আরেক দেশকে সহায়তা করতে পারে৷ জঙ্গি এবং সন্ত্রাসীদের তথ্য বিনিময় করতে পারে৷ পারে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় করতেও৷''
নূর খানের মতে, ‘‘বাংলাদেশ তদন্ত সহায়তার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত এবং অভিজ্ঞতার সহায়তা নিতে পারে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলি থেকে৷''
তিনি বলেন, ‘‘জঙ্গি তৎপরতার কথা বলে কোনো দেশকে এড়িয়ে চলা কোনো কাজের কথা নয়৷ বিশ্ব অর্থনীতিও এখন পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল৷ তাই কোনো দেশকে একঘরে করে না রেখে জঙ্গি দমনে সহায়তা করাই বুদ্ধিমানের কাজ৷''
প্রসঙ্গত, গত ১লা জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলায় ১৭ জন বিদেশিসহ ২০ জন নিহত হন৷ এছাড়া অভিযান চালাতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা এবং অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ মোট ছ'জন নিহত হয়েছিল৷
গুলশান হামলার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের দূরত্ব কমবে – এ কথা কি আপনি বিশ্বাস করেন? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷