গুজরাটে এয়ারবাস-টাটার বিমান তৈরির কারখানা
২৮ অক্টোবর ২০২২ভোটের আগে নিজের রাজ্য গুজরাটকে বড় উপহার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার রাজ্যের বদোদরায় ২২ হাজার কোটি টাকা দিয়ে বিমান তৈরির কারখানা বানাবে টাটা এবং এয়ারবাস। সেখানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য বিমান বানাবে তারা। এই প্রথম এয়ারবাসের সি-২৯৫ বিমান ইউরোপের বাইরে তৈরি হবে। এই প্রথম প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য বিমান ভারতে তৈরি করবে কোনো বেসরকারি সংস্থা।
আগামী ৩০ অক্টোবর নরেন্দ্র মোদী এই কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
আগামী বছর সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের অগাস্টের মধ্যে এয়ারবাস ১৬টি উড়ানযোগ্য বিমান দেবে। বাকিটা টাটা গোষ্ঠী বানাবে। সফটওয়্যারও টাটা কনসালটেন্সি ও টাটা অ্যাডভান্স সিস্টেম দেবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে. ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ওই কারখানায় প্রথম 'মেড ইন ইন্ডিয়া' বিমান তৈরি হবে। মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে ভারতের বেসরকারি ক্ষেত্র উচ্চ প্রযুক্তির ও তীব্র প্রতিযোগিতামূলক বিমান তৈরির ক্ষেত্রে প্রবেশ করবে। এর ফলে এই ধরনের বিমান আমদানি কমবে, বরং তা রফতানি করা হবে।
৫৬টা বিমান তৈরির পর এয়ারবাস 'মেড ইন ইন্ডিয়া' বিমান বাইরের দেশে বিক্রি করতে পারবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এয়ারবাস এখন স্পেনের কারখানায় যে কাজ করে, তার ৯৬ শতাংশ কাজ ভারতে করবে। ২০২৬ থেকে ২০৩১ পর্যন্ত এই বিমান বিদেশে রফতানি করা হবে।
এয়ারবাসএই বিমানের ইঞ্জিন, ল্যান্ডিং গিয়ার ও কিছু প্রযুক্তি দেবে। বাকি সফটওয্যার দেবে টাটারা। ভারতে এই বিমানের ১৩ হাজার ৪০০টি পার্ট তৈরি হবে। চার হাজার ৬০০ পার্ট জোড়া দেয়া হবে এবং সাতটি বড় অংশও জোড়া দেয়া হবে। সাতটি রাজ্যে ১২৫টি সংস্থাকে টাটারা চিহ্নিত করেছে, যারা ওই পার্টস সরবরাহ করবে।
এই কারখানা হলে ৬০০জন অতি দক্ষ কর্মী চাকরি পাবেন। তিন হাজার পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে। তাছাড়া তিন হাজার মাঝারি দক্ষতার চাকরিও তৈরি হবে। মোট ৪২ লাখ ৫০ হাজার শ্রমঘণ্টা তৈরি হবে।
এয়ারবাসের স্পেনের কারখানায় ২৪০ জন ইঞ্জিনিয়ারকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
এই বিমান ৪০ থেকে ৪৫ জন প্যারাট্রুপার বা ৭০ জন যাত্রী নিয়ে যেতে পারবে।
জিএইচ/এসজি (রয়টার্স, পিটিআই, টাইমস অফ ইন্ডিয়া)