গুগলের ক্ষমতা কমানোর ভোট
২৮ নভেম্বর ২০১৪খসড়ায় গুগলের উল্লেখ নেই
খসড়ার পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৮৪টি এবং বিপক্ষে ১৭৪টি৷ তবে খসড়ায় গুগলের কথা উল্লেখ করা হয়নি৷ কিন্তু ইউরোপের দেশগুলোতে যেহেতু ৯০ ভাগ বাজার গুগল দখল করে রেখেছে, তাই গুগলকে লক্ষ্য করেই ঐ খসড়া করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
খসড়া ভোট
অবশ্য ভোট পাস হয়ে গেলেও এই খসড়া প্রস্তাবটি শুধু সুপারিশ হিসেবে গৃহীত হবে৷ ইউরোপীয় কমিশন যদি এই সুপারিশ মেনে নেয়, তবেই গুগলকে ইউরোপে তাদের নীতি বদলাতে বাধ্য করা যাবে৷ জার্মান কনজারভেটিভ দলের পার্লামেন্ট সদস্য এবং এই বিলের কো-স্পন্সর আন্দ্রেয়াস সোয়াব বলেছেন, ‘‘কোনো কিছুরই একাধিপত্য ভালো নয়, না কোম্পানিগুলোর জন্য না গ্রাহক, অর্থাৎ কাস্টমারদের জন্য৷'' বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই সার্চ ইঞ্জিন গুগলের কথা জিজ্ঞেস করা হলে সোয়াব বলেন, তিনি গুগলের বিরুদ্ধে নন৷ কেননা প্রতিদিনই এটি ব্যবহার করতে হয় তাঁকে৷ ইউরোপিয়ান কমপিটিশান কমিশনার মার্গারেটে ফেসটাগার বলেছেন, তিনি বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানাবেন৷
কেন এই ভোট
ভোটাভুটির পর এখন পর্যন্ত গুগল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি৷ ২০১০ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গুগলের উপর নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করছে৷ এগুলোর মধ্যে আছে তথ্য নিরাপত্তা, কপিরাইট এবং ট্রাস্ট ইস্যু যা আইন করে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷
ওই খসড়ায় ইউরোপে গুগলকে ভেঙে দেওয়ার ও গুগলের বাকি ব্যবসা থেকে সংস্থাটির সার্চ ইঞ্জিন আলাদা করার প্রস্তাবও রয়েছে৷ ইউরোপ থেকে ওয়েবে যত অনুসন্ধান করা হয়, এর ৯০ শতাংশই গুগল ব্যবহার করে৷
খসড়া প্রস্তাবে ‘গুগলের অবৈধ ও পক্ষপাতমূলক আচরণ' বন্ধ করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে৷ অভিযোগ করা হয়েছে, গুগলের ব্যবসার জন্য যেটা সুবিধা হয়, সেভাবেই র্যাংকিং করা হয়৷ এতে ব্যবহারকারীর কথা ভাবা হয় না৷
ভোটের বিপক্ষে
তবে কয়েকজন রাজনীতিবিদ এই প্রস্তাবের বিপক্ষে মত দিয়েছেন৷ পার্লামেন্টের এএলডিই গ্রুপ সোফি ভেল্ড বলেছেন, ‘‘পার্লামেন্টের উচিত হয়নি গুগল বিরোধী খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা৷ কারণ এই প্রতিযোগিতায় কীভাবে গুগলকে পেছনে ফেলা যায় সে চিন্তা করা উচিত এবং গ্রাহককের কথা মাথায় রেখে কাজ করা উচিত৷''
গুগল কর্তৃপক্ষ এমনিতেই ইউরোপের বাজারে স্বস্তিতে নেই৷ এর আগে কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে আবার কখনো অভিযোগ উঠেছে প্রাইভেসি না মানার বিষয়টি নিয়েও৷ ফ্রান্স ও জার্মানি গুগলের কর ফাঁকির বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন৷
এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)