গাড়ির জগতে নতুনত্বের অভাব নেই
১৯ মে ২০১০আউডি তার এ-ওয়ান সুপারমিনির উৎপাদন শুরু করেছে ব্রাসেলসের একটি কারখানায়৷ এটি হল একটি কম্প্যাক্ট কার বা ছোট গাড়ি৷ এবং এর উদ্দেশ্য হল বিএমডাবলিউ'এর অতীব সফল ‘মিনি'-র সঙ্গে পাল্লা দেওয়া৷ - ওদিকে পোর্শে তার পানামেরা সেলুনের একটি দুই দরজার হ্যাচব্যাক সংস্করণ বাজারে আনার কথা ভাবছে৷
মার্সিডিজ দু'টি শক্তিশালী অথচ সাশ্রয়ী ইঞ্জিন পরিবেশন করছে৷ ভি-সিক্স ইঞ্জিনটির ক্যাপাসিটি হল ৩.৫ লিটার৷ দেয় ৩০৬ ব্রেক হর্সপাওয়ার৷ তেল খায় ২৪ শতাংশ কম, ধরুন এস ৩৫০ মডেলে ১০০ কিলোমিটারে ৭.৬ লিটার৷ - ভি-এইট ইঞ্জিনটি ৪.৬ লিটারের৷ দেয় ৪৩৫ ব্রেক হর্সপাওয়ার৷ তেল খায় ১২ শতাংশ কম, তবুও ১০০ কিলোমিটারে ১২.৩ লিটার৷
পিরেলি টায়ার তৈরীর কোম্পানি ব্রিটোনের শ্রাডার ইলেকট্রনিকস'এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি সেন্সর দেওয়া টায়ার সৃষ্টি করছে, যা গাড়ির ইলেকট্রনিক সিসটেমের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে পারবে৷ এই ‘‘সাইবার টায়ার লীন'' প্রযুক্তি ইউরোপের বাজারে আসবে আগামী বছর৷ খোলা বিক্রী শুরু হবে ২০১৩ সালে৷ সাইবার টায়ার প্রেসার, তাপমাত্রা এবং ঘূর্ণনের সংখ্যা পরিমাপ করে বেতারসঙ্কেতের মাধ্যমে তা গাড়ির ইলেকট্রনিক সিসটেমে ঢুকিয়ে দিতে পারবে - অর্থাৎ গাড়ির সঙ্গে কথা বলবে৷
ওদিকে চীনের গীলি সংস্থা জানিয়েছে যে তারা ভারতের টাটা সংস্থার ন্যানো ছোটগাড়ির সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য নাকি একটি আরো কম দামের ছোটগাড়ি তৈরী করতে চলেছে৷ চীনা চার সীটের মিনিটি নাকি একটি এক লিটারের ইঞ্জিনে চলবে, যা থেকে বেরোবে ৭০ হর্সপাওয়ার৷ চীনা মিনি চীনের বাজারে আসবে ২০১২ সালে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা