1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজা শহরে অবারো জ্বালানি সরবরাহ শুরু

আবদুস সাত্তার২২ জানুয়ারি ২০০৮

ইসরায়েল গাজা ভূ-খন্ডের সঙ্গে তার দুটি সীমান্ত ক্রসিং আজ সকালে আবার খুলে দিয়েছে মানবিক সাহায্য এবং ডিজেল জ্বালানি সরবরাহের জন্য৷ ফলে গাজায় আট লাখ ফিলিস্তনি আবারো জ্বালানি পেলো৷ উল্লেখ্য যে, ইসরায়েল গত চার দিন ধরে গাজায় জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রেখেছিল৷

https://p.dw.com/p/DPgd
ছবি: AP

প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এই পরিস্থিতিতে বলেছেন, এটাই যথেষ্ট নয় ৷ তবে তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি আলোচনা অব্যাহত রাখা হবে৷ কারণ চলতি বছরের শেষাশেষি আমাদের এ ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে৷ মাহমুদ আব্বস রামাল্লায় এ কথা বলেন, সফররত ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাক্সিম ফেরহাগেন এর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে৷

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাস বলেন, তিনি অবরোধ তুলে নেয়ার তাঁর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন৷ গাজা ভূ-খন্ড থেকে চালানো রকেট আক্রমনকে তিনি দায়িত্বহীনতা বলে উল্লেখ করেন৷ যার ফলে ইসরায়েল গাজায় জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল৷

গাজা শহরের বাসিন্দারা বলেছেন, তাঁরা আবার বিদ্যুত্ পেয়েছেন আজ দুপুরের আগে৷ প্রায় চল্লিশ ঘন্টা ব্ল্যাকআউটের পর গাজা শহরে বিদ্যুত্ ফিরে আসে৷ বিদ্যুত্ বন্ধ করে দেয়ার ফলে গাজার বিদ্যুত্ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল -যেটি জ্বালানি সরবরাহ করে গাজা এবং তার শহরতলিতে প্রায় আট লাখ বাসিন্দার জন্য৷

ইসরায়েলী প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক সীমান্ত ক্রসিংটি পুনরায় খুলে দেয়ার অনুমতি দেন মানবিক সাহায্য এবং ডিজেল সরবরাহের জন্য৷ তবে তিনি সাবধানবানী উচ্চারণ করে বলেন, ইসরায়েল তার দক্ষিণাঞ্চলে প্রাত্যহিক রকেট আক্রমন থামাতে গাজা ভূ-খন্ডের ওপর তার চাপ অব্যাহত রাখবে৷ প্যালেস্টাইনী উগ্রপন্থীরা আজ দুপুরের দিকেও ইসরায়েলের দক্ষিণে সাতটি রকেট আক্রমন চালায়৷

এদিকে, আরব দেশগুলো গাজা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি অধিবেশন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছে৷