গাজা ভূ-খন্ডের নাজুক পরিস্থিতি
২০ অক্টোবর ২০০৬গাজার পরিস্থিতি নিয়ে সেখানে ফিলিস্তিনি সংস্থা ফাতাহ এবং হামাস গোষ্ঠীর মাঝে মিশরি নিরাপত্তা প্রতিনিধি দলের মধ্যস্থতায় যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হল তাতে তাদের সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতার অবসানে যৌথ পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে৷ এই প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে হামাস ও ফাতাহ গোষ্ঠীর মাঝে হয়তো একটি চুক্তি সম্পাদিত হবে৷ চুক্তির আওতায় সমস্যার সমাধানে গাজায় একটি দফতর খোলা হবে-যাতে প্রতিনিধিত্ব করবে দুই গোষ্ঠীর প্রতিনিধিই৷
সমস্যার সমাধানের অতি জরুরি প্রয়োজন৷ কারণ গাজা ভূ-খন্ডে খনিজ পানি সরবরাহ নেই৷ খাদ্যদ্রব্যও বিরল বস্তুতে পরিণত হয়েছে৷ মানবিক সাহায্য ছাড়া ইসরায়েল সেখানে বলতে গেলে কিছুই সরবরাহের অনুমতি দেয় না৷ এত নাজুক পরিস্থিতি এর আগে আর কখনো ছিল না- বলেন গাজায় জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপি এর প্রধান খালেদ আব্দেল শাফি৷ তিনি বলেন, বিগত কয়েক মাস ধরে আমরা গাজা ভূ-খন্ডে দেখছি অতি নাজুক মানবিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি- ফিলিস্তিনিরা এর আগে আর কখনো এ ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় নি৷ এখানে ৮০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করেন৷ রেকর্ড বেকারত্বের হার- ৪০ শতাংশ৷ গাজায় বিনিয়োগের হার হ্রাস পেয়েছে৷ অর্থনীতির সব শাখাই এ জন্য ক্ষতিগ্রস্থ৷
বিগত কয়েক সপ্তাহে চল্লিশটিরও বেশি প্রতিষ্ঠান গাজা থেকে তাদের উত্ পাদন ব্যবস্থা অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে-জানান আব্দেল শাফি৷ ঐ প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগই মিশরে স্থানান্তর করা হয়েছে৷ গাজা থেকে ইসরায়েলীদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর গত কয়েক বছরে সেখানে যে আশার সঞ্চার হয়েছিল ইতিমধ্যে তা হতাশায় পরিণত হয়েছে৷ এর কারণ ফিলিস্তিনিদের চলাচলের ওপর ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ফিলিস্তিনি অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব৷
এদিকে, বিগত সপ্তাহগুলোতে আন্তঃফিলিস্তিনি সংঘর্ষে বেশ কিছু লোক মারা গেছে ও আহত হয়েছে৷ হামাস ও ফাতাহ গোষ্ঠীর মাঝে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে৷ ফলে গাজা ভূ-খন্ডে দেখা দিয়েছে অরাজকতা, সহিংসতা এবং গোলযোগ৷
এসবের জন্য দায়ী করা হয়েছে ফিলিস্তিনি রাজনীতিকদের৷ সমালোচনা করা হয়েছে তাঁদের অদক্ষ বলে৷ বলা হয়েছে, তাঁরা তাঁদের মধ্যেকার বিভিন্ন মতভেদ দূর করতে পারছেন না৷
তাঁরা বিশ্ব দরবারে প্যালেস্টাইনের বিভিন্ন সমস্যাও তুলে ধরতে পারছেন না ৷ ফলে সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হচ্ছেন৷