1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজা এক বন্দী শিবির: বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী

২৮ জুলাই ২০১০

ইউরোপীয় ইউনিয়নে তুরস্কের অন্তর্ভুক্তি সম্পর্কিত আলোচনায় দীর্ঘসূত্রিতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন৷ মুসলিম বিরোধী মনোভাবের কারণে আঙ্কারাকে ইইউ-তে ঢুকতে না দেওয়ার বিরুদ্ধেও সতর্ক করে দেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/OWC0
ডেভিড ক্যামেরনছবি: AP

মঙ্গলবার তুরস্ক সফরের সময় বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইউরোপীয় ইউনিয়নে তুরস্কের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ রাজধানী আঙ্কারায় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ন্যাটো মিত্র হিসেবে ইউরোপের নিরাপত্তা বিধানে তুরস্ক কী করেছে এবং ইউরোপীয় মিত্রদের পাশাপাশি আফগানিস্তানে তুরস্কের কাজ নিয়ে আমি যখন চিন্তা করি, একই সঙ্গে ইইউ-তে তুরস্কের অন্তর্ভুক্তির ব্যপারে কোন অগ্রগতি না হবার ঘটনা তখন আমাকে ক্ষুব্ধ করে তোলে৷

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমার দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কার, তুরস্ক শিবির পাহারা দিতে পারবে কিন্তু তাঁবুর ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না, আমি মনে করি এটা ভুল৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নে তুরস্কের সদস্যপদের ব্যপারে তিনি সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন এবং সংস্কারের ব্যাপারে আরও জোরেশোরে এগিয়ে যেতে আঙ্কারার প্রতি আহ্বান জানান৷ তুরস্কের পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে পশ্চিমের মনোভাবের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তুরস্ককে সম্পূর্ণ অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ, ব্যপারটি হৃদয়ঙ্গম করার পরই বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নে তুরস্কের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি এবং জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের বক্তব্য হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে তুরস্কের পুরোপুরি সদস্যপদের পরিবর্তে দেশটিকে অংশীদার হবার সুযোগ দেয়া হোক৷

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে তুরস্কের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী গাজাকে বন্দী শিবির বলে অভিহিত করেছেন৷ তিনি বলেন, গাজাকে বন্দী শিবির হিসেবে অবশ্যই থাকতে দেয়া যাবে না এবং থাকতে দেয়া যেতে পারে না৷ একই সঙ্গে তিনি বলেন, গাজা অভিমুখী জাহাজে ইসরায়েলি হামলা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না৷

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ভারত সফরে যাবার আগে তুরস্ক সফর করেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নে আঙ্কারার যোগ দেয়ার বিষয়ে স্থবিরতা কাটাতে তাঁর নতুন সরকার যে সমর্থন দেবে এই সফরে তিনি বিষয়টি স্পষ্টভাবেই তুলে ধরেন৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই