1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজায় নারী পুরুষের বিশেষ গোসলখানা

২৭ জুলাই ২০১০

গাজার নাম শুনলেই কী ভেসে আসবে আপনার চোখে? যুদ্ধবিধ্বস্ত এক অবরুদ্ধ অঞ্চলে মানুষের আর্তনাদ কিংবা ইয়াসের আরাফাতের মুখোচ্ছবি৷ না, গাজা শুধু যুদ্ধের আর্তনাদ কিংবা অবরুদ্ধ থাকার বেদনায় পীড়িত নয়৷

https://p.dw.com/p/OVmu
হামামখানায় নারী পুরুষের জন্য আলাদা সময় (ফাইল ফটো)ছবি: DW/Afraa Mohamad

এই গাজার ভিন্ন রূপও আছে৷ রয়েছে বিনোদন কিংবা বিলাসিতার উপকরণও৷

গাজার এক ব্যস্ত সড়কের পাশেই অবস্থিত ‘হামাম আল-শার্মা'৷ সহজ কথায় এটি বিশেষ ধরণের গোসলখানা৷ আর বিশেষত্ব হচ্ছে, এটি হাজার বছরের পুরনো৷ এই গোসলখানায় রয়েছে মাসাজের ব্যবস্থা, সঙ্গে মনের প্রশান্তির জন্য নানা সুগন্ধির ব্যবহার৷

‘হামাম আল-শার্মা'য় কাজ করেন মুরাদ আওয়াদ৷ ৩৩ বছর বয়সী এই যুবক মাসাজ করতে করতেই জানাচ্ছেন, বহিঃবিশ্বের সঙ্গে এই জায়গার কোন সম্পর্ক নেই৷ যারা সুন্দরের পুজারি, তাদের জন্য এই জায়গা৷ মুরাদ'এর কথায়, যুদ্ধের বিভীষিকা ভুলে যেতে অনেক মানুষ এখানে আসে৷

২০০৮ সালের ডিসেম্বরের পর এই হামামখানা, মানে গোসলখানায় মানুষের আগমন নাকি বেড়েছে৷ তবে, হামামখানাটির সর্বশেষ সংস্কার হয়েছে ত্রয়োদশ শতকে! এটির মালিক সেলিম আল-ওয়াজির'এর দাবি, হাজার বছর আগে তৈরি হয়েছে এই হামামখানা৷ এরপর একবার শুধু বোমা পড়েছিল এটির ওপর৷ কিন্তু ক্ষতি তেমন হয়নি৷

৬০ বছর বয়সী আবু এসান, নিয়মিত আসেন এই হামামখানায়৷ জানালেন, প্রতি দুই-তিনদিন অন্তর একবার আমি এখানে আসি৷ কারণ এখানে গোসল করা কিডনির জন্য উপকারী৷

হামামখানার দেয়ালে ঝুলছে ফাতাহ'র নেতা ইয়াসের আরাফাত'এর ছবি৷ সঙ্গে তাঁর একসময়কার সহযোগী খালিল আল-ওয়াজির'এর ছবি৷ তবে, সেলিম আল-ওয়াজির'এর দাবি, এটি কোন রাজনৈতিক হামামখানা নয়৷ বরং হামাসের অনেক নেতা এবং তাদের পরিবারের নারীরাও আসেন এই গোসলখানায়৷ সেটা শান্তির জন্য৷

অবশ্য ‘হামাম আল-শর্মা'য় নারী-পুরুষের আগমনের সময়সীমা আলাদা৷ আর গোসলখানায় অবশ্যই অন্তর্বাস অথবা তোয়ালে জড়িয়ে থাকাই নিয়ম৷ এর ব্যতিক্রম ঘটানো সম্ভব নয়৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন