গাজার হাসপাতাল চত্বরে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার, দাবি ইসরায়েলের
১৭ নভেম্বর ২০২৩দুই দিন ধরে আল-শিফা হাসপাতালে হামলা করে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স(আইডিএফ)-এর দাবি, হাসপাতাল চত্বর থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গেছে। তাদের দাবি, হাসপাতাল চত্বরে রাখা একটি গাড়ি থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তাছাড়া একটি টানেলেও অস্ত্র পেয়েছে ইসরায়েলের সেনা।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সেনা এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের আক্রমণে যাবে। তবে এই বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। তিনি শুধু বলেছেন, সেনা নিখুঁত লক্ষ্যে আঘাত করছে।
পণবন্দির দেহ উদ্ধার
ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, হাসপাতাল চত্বরের কাছের একটি বাড়ি থেকে তারা একজন ইসরয়েলি পণবন্দির দেহ উদ্ধার করেছে। গত ৭ অক্টোবর হামাস ওই ইসরায়েলি নারীকে অপহরণ করেছিল। ওই নারীর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
ওই বাড়ি থেকে কালাশনিকভ রাইফেল-সহ বশ কিছু অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে সেনার দাবি।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
গাজায় জর্ডানের একটি ফিল্ড হাসপাতালের উপর আক্রমণ হওয়ায় অ্যামেরিকা খুবই উদ্বিগ্ন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ওই ফিল্ড হাসপাতালের উপর বিমান হামলায় ছয়জন স্বাস্থ্যকর্মী আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অ্যামেরিকা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
গত বুধবার এই ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় উদ্বেগের কথা জানালেও অ্যামেরিকা এর নিন্দা করেনি, কারা এই আক্রমণের পিছনে তাও জানায়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ''জর্ডান এই ফিল্ড হাসপাতালে অসাধারণ সেবামূলক কাজ করছিল। আমরা চাই না, কোনো হাসপাতালের উপর বিমান-হামলা হোক।''
হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা বিষয়ক পরামরশদাতা সুলিভান বলেছেন, ''জর্ডান হলো অ্যামেরিকার বন্ধু ও সহযোগী দেশ। তারা গাজায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। তাদের এই ভূমিকায় কোনো বাধা আসা উচিত নয়।''
ইইউ-র পরামর্শ
ইইউ-র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল ইসরায়েল গেছিলেন। তিনি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। বরেল জানিয়েছেন, ''হামাসের আচরণের প্রতিক্রিয়ায় রাগের বশবর্তী হয়ে কাজ করা উচিত নয়। একটা আতঙ্ক কখনোই আরেকটা আতঙ্কের যৌক্তিকতা প্রমাণ করে না।''
বরেল বলেছেন, ''আমি আপনাদের কষ্ট বুঝি। যাদের মারা হয়েছে, অত্যাচার করা হয়েছে, তাদের পরিবারের রাগ ও ক্ষোভও বুঝি। তারপরেও বলছি, রাগের বশবর্তী হয়ে কাজ করবেন না। একটা সভ্য সমাজ ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে ফারাক হলো, সভ্য সমাজ সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারকে শ্রদ্ধা করে।''
তিনি জানিয়েছেন, ''গত কয়েক সপ্তাহে নিরপরাধ বেসামরিক মানুষ ও হাজার হাজার বাচ্চা মারা গেছে। প্রচুর মানুষ বাড়ি থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের সাহায্য দরকার। তাদের খাবার, জল, জ্বালানি ও সাহায্য দরকার।''
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)