আবারো তোপের মুখে ট্রাম্প
৩১ মার্চ ২০১৬আগামী ৮ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন৷ নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই ট্রাম্পের ঝুলিতে বিতর্কিত মন্তব্যের সংগ্রহ বাড়ছে৷ সর্বশেষ সংযোজন, গর্ভপাত করিয়েছেন এমন যে কোনো নারীর শাস্তি দাবি করা৷ বুধবার কেবল নিউজ নেটওয়ার্ক এমএসএনবিসি-র সাংবাদিক গর্ভপাত বিষয়ে ট্রাম্পের মতামত জানতে চান৷ ট্রাম্প জানান, তিনি মনে করেন, গর্ভপাত করানো অপরাধ, তাই যে নারীরা গর্ভপাত করান তাঁদের জন্য ‘‘শাস্তির ব্যবস্থা থাকা উচিত৷'' কেমন শাস্তি দেয়া যেতে পারে? উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘‘তা জানি না৷''
সাক্ষাৎকারটি প্রচারের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে সমালোচনা৷ একজন সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর এমন মন্তব্যে হতাশ হয়ে কেউ কেউ টুইটারে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘আমরা কি অন্ধকার যুগে ফিরে যাচ্ছি?''
ট্রাম্পের এমন মন্তব্যে তাঁর নিজের দলের নেতা-কর্মীদের বড় একটা অংশও ক্ষুব্ধ৷ রিপাবলিকান দলের আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জন কেসিক তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘‘মেয়েদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত নয়৷ আমার তো মনে হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প একটু পরেই বলতে শুরু করবেন যে, তিনি এমন কথা বলেননি, কিংবা তাঁর বক্তব্যে ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে৷''
ওহাইয়োর গভর্নর কেসিকের অনুমান একদম ঠিক৷ আগের বক্তব্য থেকে সরে সত্যিই একটি বিবৃতি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘‘ডাক্তার বা অন্য কেউ, যিনি নারীদের দিয়ে এই অন্যায় কাজটি করান, আইনত তারাই দায়ী৷ তাদেরই শাস্তি হওয়া উচিত৷ নারী তো আসলে পরিস্থিতির শিকার৷''
এমন বিবৃতির পরও সমালোচনা থামেনি৷ ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনসহ অনেকেই গর্ভপাত করা নারীদের শাস্তি দাবি করায় ট্রাম্পের সমালোচনায় মুখর৷
ট্রাম্প নারী, কিংবা ডাক্তারদের শাস্তি দাবী করলেও যুক্তরাষ্ট্রে কিন্তু গর্ভপাত বৈধ৷ ১৯৭৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে গর্ভপাতকে বৈধতা দেয়া হয়৷ রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনয়ন দৌড়ে শামিল হওয়ার আগে ট্রাম্পও গর্ভপাতের পক্ষেই ছিলেন৷
এসিবি/ডিজি (এপি, রয়টার্স, এএফপি)