ক্ষমা চাইলেন মুরাদ হাসান
৭ ডিসেম্বর ২০২১ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি অথবা আমার কথায় মা-বোনদের মনে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন৷''
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে ‘বর্ণ ও নারীবিদ্বেষী' বক্তব্যের পর এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে অশালীন ফোনালাপের অডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল৷ সে কারণে সোমবার তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ এরপর মঙ্গলবার তার নির্বাচনি এলাকা জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আনন্দ মিছিল করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা৷ পোড়ানো হয়েছে মুরাদের কুশপুতুল৷
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন হোসাইন শিবলু সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘মন্ত্রিত্বের দাপটে মুরাদ হাসান এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছেন, তার নানা অপকর্মে আমরা লজ্জিত ছিলাম৷ প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিলের আয়োজন করেছি৷’’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, ‘‘এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে একজন তথ্য প্রতিমন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেন, তা দলের জন্য সত্যিই লজ্জাজনক৷ প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকে আমরা স্বাগত জানাই৷’’
জামালপুরের আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান তালুকদারের ছেলে ডা. মুরাদ হাসান ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী, মেস্টা ও তিতপল্যা) প্রথমবার সংসদ সদস্য এবং ২০১৮ সালে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য হন৷
২০১৯ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান মুরাদ৷ পরে তাকে স্বাস্থ্য থেকে সরিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় ৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)