মাঠে এখন ট্রাম্প একা!
৫ মে ২০১৬মঙ্গলবার ইন্ডিয়ানায় জেতার পর থেকেই ট্রাম্প তাঁর সুর বদলাতে শুরু করেছেন,সেটাই সম্ভবত বড় খবর৷ অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের মতো আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা যখন ‘‘ট্রাম্প কিভাবে আধুনিক রাজনীতির সব রীতিনীতি ভেঙেও জিতলেন'', তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে, তখন হিলারি রডহ্যাম ক্লিন্টন ও তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার দলবল আরো বড় এবং বেশি করে ভবিষ্যৎ প্রতিদ্বন্দ্বীর দিকে কামান দাগতে শুরু করেছেন৷
হিলারি শিবিরের একটি পন্থা হল, ট্রাম্প বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে যে সব মত প্রকাশ করেছেন, সেগুলিকে তুলে ধরা; যেমন ট্রাম্প বলেছেন, তিনি স্কুলে বন্দুক ঢুকতে দেবেন; অথবা মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেবেন না; মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর দেবেন; অথবা ওয়াটারবোর্ডিং-এর মতো বিতর্কিত জেরার পদ্ধতি আবার চালু করবেন৷
অপরদিকে ক্লিন্টন সম্পর্কে ট্রাম্পের মন্তব্য, ‘‘বাস্তবিক হিলারিকে হারানো অন্যান্য অনেক সেনেটর কিংবা গভর্নরকে হারানোর চেয়ে সহজ হবে'' – ট্রাম্প যেরকম এনবিসি টেলিভিশনকে বলেছেন৷ নয়ত সিএনএন-এর সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী জনসমর্থনের ক্ষেত্রে হিলারি ট্রাম্পের চেয়ে ৫৪ শতাংশ বনাম ৪১ শতাংশে এগিয়ে আছেন৷
ট্রাম্প তাতে বিচলিত হবার পাত্র নন৷ তাঁর লক্ষ্য আপাতত তাঁর নিজের দল, রিপাবলিকানদের পুনরায় একত্রিত করা৷ বুধবার রাত্রে তিনি সেনেটে সর্বোচ্চ রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল-এর ‘এনডোর্সমেন্ট' অর্থাৎ সমর্থন পেয়েছেন৷ ম্যাককনেল-এর যুক্তি হলো, হিলারির জয় বস্তুত বারাক ওবামার ‘তৃতীয়' কর্মকালের সমতুল হবে, তাই তা রোখা প্রয়োজন৷ অপরদিকে রিপাবলিকান দলের অনেক অতীত ও বর্তমান হোমরা-চোমরা ট্রাম্পকে সমর্থন করতে রাজি নন৷ যেমন...
ট্রাম্প কিন্তু বুধবার ফক্স নিউজ-কে বলেছেন, ‘‘আমরা এবার দলকে একত্রিত করব, সকলকে একসঙ্গে আনব৷'' এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সি কেমন হবে, সে বিষয়ে জনমানসে যদি কোনো দ্বিধা থাকে, তবে তা দূর করার চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প৷ ‘‘লোকে এখনও ঠিক বুঝতে পারছে না, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেমন হবে'', নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে বলেছেন ট্রাম্প; ‘‘কিন্তু সবই ঠিক থাকবে৷ আমি দেশের অবস্থা আরো স্থিতিহীন করার জন্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হইনি৷''
বুকমেকার বা বুকি-রা বৃহস্পতিবার সকালে যা ধরছিল, তা অনুযায়ী আপাতত ক্লিন্টনের জেতার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশের বেশি হলেও, ট্রাম্প প্রায় ৩২ শতাংশে পৌঁছে গেছেন৷
অপরদিকে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস লিখছে, ট্রাম্প যতই অভব্য হোন না কেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে পারেন, বলে ইউরোপের মানুষদের ধারণা৷
এসি/ডিজি (এএফপি, এপি)