ক্যাচ মিস, ম্যাচ মিস?
২৪ অক্টোবর ২০২১টসে হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ৷ সেটিকে ভালোই কাজে লাগিয়েছিলেন ব্যাটসম্যানরা৷ উদ্বোধনী জুটিতে ৪০ রান তোলার পর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আউট হন লিটন৷ ১৬ বলে ১৬ রান করে লাহিরু কুমারার বলে ক্যাচ দেন তিনি৷ ওয়ান ডাউনে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাকিবও৷ সাত বলে ১০ রান তুলে চামিকা করুনারত্নের বলে বোল্ড হন তিনি৷ এরপরের সময়টা নাঈম-মুশফিকের৷ চতুর্থ উইকেটে দুজন অর্ধশত তুলে নেন ৩৮ বলে৷ ছয়টি চারে ৫২ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে মোহাম্মদ নাঈম আউট হলেও রানের গতি ধরে রাখেন মুশফিক৷ মাঝে রান আউট হন আফিফ৷ বাংলাদেশের ইনিংস থামে চার উইকেটে ১৭১ রানে৷ পাঁচটি চার ও দুইটি ছয়ে ৩৭ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক৷
১৭২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে ইনিংসের শুরুতেই হোঁচট খায় শ্রীলঙ্কা৷ প্রথম ওভারেই কুসাল পেরেরাকে ফেরান নাসুম আহমেদ৷ কিন্তু তাতে দমে যাননি শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা৷ আসালাঙ্কা ও নিসানকা একের পর এক বাউন্ডারিতে বাংলাদেশের বোলারদের বিপর্যস্ত করে তোলেন৷ নবম ওভারে তাদের ৪৫ বলে ৬৯ রানের জুটি ভাঙ্গেন সাকিব আল হাসান৷ ততক্ষণে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৮.১ ওভারে ৭১৷ এক বল বিরতি দিয়ে নতুন ব্যাটসম্যান আভিশকা ফার্নান্দোকেও বোল্ড করেন সাকিব৷ পরের ওভারে হাসারাঙ্গাকে বিদায় করেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন৷ দ্রুত তিন উইকেট ফেলে শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলে বাংলাদেশ৷
এসময় স্পিন দিয়েই শ্রীলঙ্কাকে বেঁধে ফেলার চেষ্টা করছিলেন মাহমুদউল্লাহ৷ বাংলাদেশের জন্য যখন উইকেট জরুরি হয়ে পড়েছে সেই সময় আফিফ হোসেনের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে বল তুলে দেন রাজাপাকসা৷ সেই ক্যাচ মিসই শুধু নয় উল্টো তাকে বাউন্ডারি উপহার দেন লিটন৷ ১২.৩ ওভারেই শতরান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা৷ একপ্রান্তে ঠান্ডা মাথায় খেলে ৩২ বলে অর্ধশত তুলে নেন চারিথ আসালাঙ্কা৷ তাকে আউট করে বাংলাদেশের ম্যাচে ফেরার সুবর্ণ সুযোগ আসে ১৪.৫ ওভারে মুস্তাফিজের বলে৷ এবারও তার সহজ ক্যাচ ছাড়েন লিটন৷ আলাসাঙ্কার রান তখন ৬৩৷ এই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৮০ রানে৷ ১৪ রানে জীবন পাওয়া আরেক ব্যাটসম্যান রাজাপাকসা ৩১ বলে তুলে নেন ৫৩ রান৷ ১৮.২ ওভারে তাকে আউট করেন নাসুম৷ ততক্ষণে ম্যাচ শ্রীলঙ্কার অনেকটাই হাতের মুঠোয়৷ এরপর তেমন নাটকীয়তা ছাড়াই সাত বল হাতে রেখে পাঁচ উইকেটের জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা৷