‘কোন কিছুই ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরাতে পারবে না’
২ এপ্রিল ২০১০পরমাণু আলোচনার বিষয়ে নিযুক্ত ইরানের এক শীর্ষ আলোচক পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে না আসার কথাই বলেছেন শুক্রবার৷ বেইজিং এ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইয়াং জিয়াসির সঙ্গে আলোচনাকালে এই কথাটিই স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন সাঈদ জালিলি৷ বার্তা সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, বৈঠকের পর জালিলি বলেছেন, দুই পক্ষ একমত হয়েছে যে এ ধরণের কোন অবরোধ কার্যকারিতা আনতে পারে না৷
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চীন উদ্বিগ্ন৷ চীন এই বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে আসছে৷ কূটনৈতিক উপায়ে সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধানের বিষয়ে তারা কাজ করছে৷
চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও এর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শুক্রবার প্রায় ঘন্টাধিকাকালের টেলিফোন আলাপের পর ইরান এবং চীনের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য আসলো৷ ওয়াশিংটন থেকে বেইজিং এ ফোন করে প্রেসিডেন্ট ওবামা ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা মানতে ইরানকে বাধ্য করতে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন৷
সিবিএস টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের উপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে ওবামা বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, কোন বিকল্প উপায়কে আমরা আমাদের টেবিল থেকে সরিয়ে ফেলিনি৷ আমরা সব কিছুই বিবেচনা করছি এবং প্রয়োগ করার চেষ্টা করছি৷ এর ফলে তারা কি ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখায় তা আমরা দেখতে চাই৷ আমরা যাই করি না কেন তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের রায় মেনেই করা হবে৷'
তথ্য উপাত্তের কথা এবারও বলেছেন বাবাক ওবামা৷ বলেন, আমাদের কছে যে তথ্য প্রমাণ আছে, তার উপর ভিত্তি করে বলা যায়, পরমাণু কর্মসূচির আড়ালে আসলে ইরাক পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতেই চাইছে৷
বার্তা সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, চীনা সরকার এই বিষয়ে বলেছে, ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে আরও আলোচনা করতে চায় চীন৷ চলতি মাসের মাঝামাঝি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় পরমাণু নিরাপত্তা শীর্ষসম্মেলনে প্রেসিডেন্ট হু যোগ দেবেন এবং সেখানেই এ নিয়ে চীনের অবস্থান পরিস্কার করবেন তিনি৷
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই যোগাযোগে বিষয়টিতে স্পষ্ট হয়েছে যে অ্যামেরিকা চাইছে নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবে চীন যেন ভিটো প্রয়োগ না করে৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক