1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কে এই মসজিদে হামলাকারী?

১৫ মার্চ ২০১৯

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে ঢুকে গুলি চালায় ২৮ বছরের এই অস্ট্রেলিয়ান যুবক৷ হামলায় মারা যান ৪৯ জন৷ কিন্তু কেন মুসলিমদের বিরুদ্ধে তার এই রোষ?

https://p.dw.com/p/3F92x
Neuseeland Angriff auf Moscheen in Christchurch
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Baker

শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের ‘আল নূর' মসজিদে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দুই সন্ত্রাসী৷ পুলিশসূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীরা অতি-ডানপন্থি, মুসলিমবিদ্বেষী মনোভাবাপন্ন৷

দুই হামলাকারীর একজন ২৮ বছর বয়সি এক অস্ট্রেলিয়ান যুবক, যার অভিবাসী ও মুসলিমদের প্রতি বিরূপ মনোভাব ধরা পড়েছে ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া একটি ইশতাহার থেকে৷ ৭৪ পৃষ্ঠা দীর্ঘ এই ইশতাহারে বারবার সে শ্বেতবর্ণ মানুষদের শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলেছে৷

শুধু তাই নয়, কেন ইসলামপন্থি মানুষদের সাথে পশ্চিমা চিন্তার বিরোধ, তাও সে বোঝাতে চেয়েছে সেখানে৷

যদিও যুবকের পরিচয় জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি স্থানীয় পুলিশ৷ তবে ‘ব্রেন্টন টারান্ট' নামে সামাজিক মাধ্যমে সে আগেও নানা বিদ্বেষী বক্তব্য ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ সেই ব্যক্তির প্রোফাইল থেকেই গোটা হামলার ঘটনাটি অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়৷

সেই ভিডিওতেই তাকে দেখা যায় ভয়াবহ এই ঘটনাকে ‘পার্টি'-র সাথে তুলনা করতে!

কেন এই হামলা?

সাধারণ পরিবারে বেড়ে ওঠা এই যুবকের ভেতর আগে থেকেই ছিল বর্ণবাদ, অন্ধত্ব৷

নিজের ভেতরে এই বাড়তে থাকা বিদ্বেষের সাথে সাথে এমন হামলার কারণ হিসাবে ইশতাহারে সে দিয়েছে ইউরোপের উদাহরণ৷

ফ্রান্সে বেড়াতে এসে আশেপাশে বহু অভিবাসী মানুষদের দেখে যুবকটি আস্তে আস্তে এই হামলার জন্য নিজেকে তৈরি করে৷ তিনমাস আগেই টার্গেট হিসাবে ঠিক করে ক্রাইস্টচার্চ৷

হামলাকারী যুবকের খাতা-কলমে কোনো চরমপন্থি সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার খবর এখনও পাওয়া যায়নি৷

কিন্তু তার ইশতাহার ও বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে লেখা প্রতিক্রিয়া থেকে পুলিশ ধারণা করছে যে একাধিক বর্ণবাদী, ইহুদিবিদ্বেষী ও ইসলামবিদ্বেষী ব্যক্তিদের দ্বারা সে অনুপ্রাণিত হয়েছিল৷

উল্লেখ্য, অভিবাসীদের ‘বহিরাগত' ভাবা এই যুবকের বন্দুকের গায় হিটলারের স্লোগান লেখা ছিল!

এসএস/জেডএইচ (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য