1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোরান ছুঁয়েও কথা রাখেনি স্বামী

২৩ জানুয়ারি ২০১৬

স্বামী কোরান ছুঁয়ে শপথ করেছিল স্ত্রীকে আর পেটাবে না৷ নির্যাতন সইতে না পেরে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রী বিশ্বাস করে ফিরেছিল সংসারে৷ কথা রাখেনি স্বামী৷ পিটিয়ে স্ত্রীর নাক কেটে নিজে পালিয়েছে ঘর ছেড়ে৷ পুলিশ খুঁজছে, খুঁজছে তালেবানও৷

https://p.dw.com/p/1Hi6y
Symbolibld USA Virginia Schulen geschlossen wegen Koranversen
ছবি: Reuters/J. Roberts

খুব কম বয়সেই বিয়ে হয়েছিল রেজা গুলের৷ আফগানিস্তানের বেশিরভাগ মেয়ের ক্ষেত্রে এখনো তা-ই হয়৷ ফারিয়াব প্রদেশের ঘোরমাচ জেলায় বিয়ের পরের পাঁচটি বছর ভীষণ কষ্টে কেটেছে৷ স্বামী মোহাম্মদ খান নিয়মিত পেটাতো তাঁকে৷ সম্প্রতি অত্যাচার আর সইতে না পেরে স্বামীর ঘর ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যায় রেজা গুল৷ তালেবান আধিপত্যের এলাকা বলে স্থানীয় তালেবান নেতাদেরও কানে যায় ব্যাপারটি৷ সালিশ ডেকে মোহাম্মদ খানকেও হাজির করা হয়৷ সমস্ত দোষ স্বীকার করে তরুণটি তখন পবিত্র কোরান ছুঁয়ে শপথ করে বলে ভবিষ্যতে আর কোনোদিন স্ত্রীর গায়ে হাত তুলবে না৷

মোহাম্মদ খান পবিত্র ধর্ম গ্রন্থের অবমাননা অন্তত করবে না ভেবে কয়েকদিনের মধ্যেই নির্ভয়ে স্বামীর সংসারে ফিরেছিল রেজা গুল৷ কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি৷ সংসারে ফেরার কয়েকদিনের মধ্যেই ছুরি মেরে মুখমণ্ডল ক্ষতবিক্ষত করে রেজার নাকটাও কেটে নিয়েছে স্বামী৷ তারপরই পালিয়েছে সে৷

স্থানীয়দের ধারণা, পালিয়ে গিয়ে মোহাম্মদ খান তালেবানে যোগ দিয়েছে৷ কিন্তু স্থানীয় তালেবান নেতা এটাকে ‘গুজব' বলেই উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, ‘‘মোহাম্মদ খান যা করেছে তা সম্পূর্ণ অনৈসলামিক৷ কেন এমন করল তা বোঝার জন্য ওকে আমরাও খুঁজছি৷''

একদিকে পুলিশ, অন্যদিকে তালেবান৷ শেষ পর্যন্ত হয়ত ধরা পড়বে মোহাম্মদ খান৷ হয়ত শাস্তিও হবে৷ কিন্তু রেজা গুলের কী হবে?

এখনো স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর৷ সঙ্গে তাঁর দু'মাসের সন্তান৷ মা-মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে স্বজনরা চিন্তিত৷ তবে ফারিয়াব প্রদেশের প্রশাসন রেজাকে তুরস্ক পাঠিয়ে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করছে৷ চেষ্টা সফল হলে শিগগিরই হয়ত নাক ঠিক করতে তুরস্কে আসবে রেজা গুল৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, এপি)

মোহাম্মদ খান যা করেছে তা কি ইসলামবিরোধী? আপনার কী মনে হয়? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান