কেমন আছেন এশিয়ার নারীরা?

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের পতন ঘটানোর পর দেশটিতে নারী অধিকার বিষয়ে বেশ অগ্রগতি দেখা গেছে৷ তবে সম্প্রতি আফগান সরকারের সাথে তালেবানদের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় দেশটিতে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আবারও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে৷

দেশটির নারী ফুটবল দল গঠনের বিষয়টি দেখে বোঝা যায় যে, ইরানে নারীর সমানাধিকারের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ তবে সমাজের সকল স্তরে নারীদের সমানাধিকার রক্ষায় এখনো সংগ্রাম করতে হচ্ছে মানবাধিকার কর্মীদের৷ নাসরিন সুটুডেহ নামের এক নারী আইনজীবী দীর্ঘদিন ধরে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব প্রথা বাতিলের বিষয়ে লড়াই করছিলেন৷ সম্প্রতি দেশটির আদালত তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়৷

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বলছে, নারী অধিকার সূচকে ২০১৮ সালে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে ভালো ছিল৷

দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটি নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে৷ ছবিতে উজমা নাওয়াজ নামে পাকিস্তানের প্রথম নারী গাড়ি-কারিগরকে দেখা যাচ্ছে৷

নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অনেকটাই এগিয়েছে ভারত৷ সম্প্রতি নারীদের রাস্তায় বাইক চালানোর বিষয়টি দেখে দেশটিতে নারীদের অবস্থার বিষয়ে ধারণা পাওয়া যেতে পারে৷ তবে দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে অনেক নারীকেই যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়৷ সম্প্রতি নারীরা মি’টু আন্দোলনের মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে৷

নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইন্দোনেশিয়া গত কয়েক বছরে বেশ অগ্রগতি অর্জন করলেও এখনো নারীদেরকে নিপীড়নমূলক শরিয়া আইনের মুখোমুখি হতে হয়৷ যেমন, দেশটির আচেহ প্রদেশ নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক হিজাব পরিধান আইন প্রণয়ন করেছে৷

এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকায় নারীরা সামাজিক ও অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে তুলনামূলক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে৷

দেশটির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সুফল ভোগ করছে নারীরা৷ তবে দেশটির পুরুষদের তুলনায় শিক্ষা ক্ষেত্রে এখনও সমান উপস্থিতি নেই নারীদের৷