1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কৃত্রিম ডিএনএ

২১ এপ্রিল ২০১২

বিবর্তনের ধারা আরো ভালোভাবে বুঝতে কৃত্রিম ডিএনএ তৈরি করার কাজে সাফল্য পেলেন বিজ্ঞানীরা৷ অন্যদিকে ডিএনএ পরীক্ষায় ভুল ফল পাওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/14iXE
gen technik 7, Foto: Fotolia/Gernot Krautberger, 2716456 // Gentechnik, DNS, DNA, Manipulation, Labor, Untersuchung, Zellen, Medizin, Diagnostik, Arzt, Gesundheit, Krankenhaus, Therapie, Biotechnologie, Molekularbiologie, Genetik
ছবি: Fotolia/Gernot Krautberger

জীবকোষের ডিএনএ বা ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিডেই দেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় জিনগত নির্দেশনা থাকে, যা চলতে থাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে৷ আর প্রতিটি প্রজন্মের অর্জিত নতুন নতুন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে, পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা এবং বিবর্তনের মধ্য দিয়ে এই ‘তথ্যভাণ্ডার' পরিবর্তিত হতে থাকে৷ এভাবেই খচিত হচ্ছে মানব ইতিহাসের বিবর্তনের পথ৷

ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের এক সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, পৃথিবীর বাইরে এই মহাবিশ্বের অন্য কোথাও যদি প্রাণের অস্তিত্ব থাকে, সেখানে বিবর্তনও থাকবে৷ তবে সেক্ষেত্রে সেই প্রাণের রাসায়নিক গঠন এই পৃথিবীর মতো চেনাশোনা নাও হতে পারে৷ বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স'-এ প্রকাশিত এই গবেষণা নিবন্ধটিতে বলা হচ্ছে, কৃত্রিম ডিএনএ নিয়ে গবেষণায় এই সাফল্য হয়তো ভবিষ্যতের ‘সিনথেটিক বায়োলজির' জন্য পথ তৈরি করে দেবে৷

ব্রিটেনের মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের ল্যবরেটরি অব মলিকিউলার বায়োলজির গবেষক ফিলিপ হোলগার ও তাঁর সহকর্মীরা এই গবেষণায় ডিএনএ ও আরএনএর মতো ছয়টি কৃত্রিম অণু তৈরি করেছেন, যাকে তাঁরা বলছেন জেনো নিউক্লিক অ্যাসিড বা এক্সএনএ৷ কোষ বিভাজনের সময় ডিএনএ যেভাবে বিভাজিত হয়ে সন্তানের দেহে মাতৃকোষের জিনগত তথ্য পৌঁছে দেয়, সেই পরিবেশও তাঁরা তৈরি করে দেন এক্সএনএ-গুলোর জন্য৷

দীর্ঘ ও জটিল গবেষণার শেষ পর্যায়ে হোলগার'এর দলবল খেয়াল করে দেখেন, বিভাজনের পর তৈরি হওয়া নতুন অনুলিপিতেও এক্সএনএর জিনগত তথ্য স্থানান্তরিত হয়েছে৷ ফিলিপ হোলগার জানান, জিনগত উত্তরাধিকার ও বিবর্তন - প্রাণের এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য যে ডিএনএ বা আরএনএ ছাড়াও অন্য পালিমারে তৈরি করা সম্ভব - এ গবেষণায় সেটাই দেখতে পেয়েছি আমরা৷

এ পর্যন্ত পৃথিবীতে প্রাণ যেভাবে বিকশিত হয়েছে - সেই রাসায়নিক গঠনটিই যে প্রাণের অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য, এটা আর ভাবার কোনো কারণ দেখছেন না এই ব্রিটিশ গবেষক৷ তবে সেই প্রাণের বিকাশের জন্যও বিবর্তনের প্রয়োজন অবশ্যম্ভাবী, বলছেন তিনি৷ কথাটা বোঝা কঠিন নয়, প্রাণকে বিকশিত হতে গেলে একটা বিবর্তনের ছক তো অনুসরণ করতেই হবে! সেটাই এ পর্যন্ত চেনা পদ্ধতি৷

এটা তো গেল চেনা পদ্ধতি এবং জিনের বিবর্তনের কিছু কথা৷ যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ডিএনএ'র নতুন ধাঁচের গবেষণার কথা৷ এবার আসা যাক, ডিএনএ কেন্দ্রীক আরেকটি প্রয়োজনীয় তথ্যে৷ অপরাধ বিজ্ঞানে ডিএনএ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম তা আমরা সাকলেই জানি৷ অপরাধী প্রমাণের ক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষা উদ্ভাবিত হওয়ার পর অনেক সমস্যারই সমাধান হয়েছে৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেই সর্ষের মধ্যেও বিস্তর ভূত লুকিয়ে রয়ে গেছে৷ সাম্প্রতিক অতীতে খোদ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এ ধরণের ভুল ডিএনএ পরীক্ষার পর বেশ কিছু সন্দেহভাজন অপরাধীকে হয় বিনা কারণে শাস্তির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে, অথবা আসল অপরাধীকে চিনতে না পেরে ছেড়ে দিয়েছে৷ জানাজানি হওয়ার পর এ বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন৷ এখন বিজ্ঞান তার আবিষ্কার দিতেই পারে, তাকে সঠিক উপায়ে ব্যবহার করাটা তো মানুষেরই দায়িত্ব!

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়, (এপি, রয়টার্স)
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য