বাংলাদেশে হরতাল
১৬ মে ২০১২গত ২৯শে এপ্রিল রাতে হরতাল চলাকালে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানো হয়৷ এই ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয় বিএনপিসহ ১৮ দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে৷ মামলার চার্জশিটে আসামি করা হয় ৪৫ জনকে৷ উচ্চ আদালতের নির্দেশে আজ ১৮ দলের ৩৩ জন নেতা ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন জানান৷ দুপুর ২টার পর জামিন আবেদনের শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মো. এরফান উল্লাহ তাঁদের জামিন ‘না মঞ্জুর' করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷
বিকেলে তাঁদের আদালত থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়৷ ৩৩ জন নেতার মধ্যে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এমকে আনোয়ার, হান্নান শাহ, সাদেক হোসেন খোকা, মির্জা আব্বাস, গায়েশ্বর চন্দ্র রায়, এলডিপি'র চেয়ারম্যান অলি আহমেদ, বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থসহ সিনিয়র নেতা এবং সংসদ সদস্য রয়েছেন৷ তাঁদের কারাগারে পাঠানোর পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আইনজীবী এবং বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে৷
এদিকে পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেছেন যে, আইন অনুযায়ী বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷ নেতাদের জামিন আবেদন নাকচ হওয়ার পর, আদলাত এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়৷ এতে সাংবাদিক এবং আইনজীবীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন৷
প্রতিক্রিয়ায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর এবং সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা৷ ঢাকায় বেশ কয়েকটি গাড়ি পোড়ানোর পর রাজধানীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ পুলিশ এসব ঘটনায় নিরীহ মানুষকেও আটক করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷
সন্ধ্যায় বিএনপি এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে নেতাদের কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে, কাল বৃহস্পতিবার, সারা দেশে সকাল সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে৷ স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ