কার্ডিফে হ্যাটট্রিক হলো না
৮ জুন ২০১৯কিন্তু বোলাররা কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগাতে পারেননি৷ ফলে কার্ডিফে ১০৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ দল৷ আর এই হারের পেছনে দায়ী করা হচ্ছে টাইগারদের দুর্বল বোলিং এবং ফিল্ডিংকে৷ শুরুতে ব্যাট করে ইংলিশরা ৩৮৬ রানের যে পাহাড় গড়েছিল, তা ব্যাটসম্যানদের পক্ষে টপকানো ছিল কার্যত অসম্ভব৷ তা সত্ত্বেও সাকিব-মুশফিকের বড় জুটি এবং সাকিবের সেঞ্চুরি খানিকটা আশা জাগিয়েছিল৷ কিন্তু ইংলিশদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং দ্রুতই সেই আশা মিইয়ে দিয়েছে৷
ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে জেসন রয় ১৫৩, জস বাটলার ৬৪ ও জনি বেয়ারস্টো ৫১ রান করেছেন৷ সাইফুদ্দিন ও মিরাজ দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন৷
শনিবার সকালে টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি৷ কারণ হিসেবে বলেন যে, গেল দু’দিন উইকেট ছিল ঢাকা৷ তাই বোলাররা প্রথম ঘন্টায় সুবিধা পাবেন৷
ম্যুভমেন্টের সুবিধা পেতে তাই দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিটির হাতেই বল তুলে দেন তিনি৷ সাকিব আল হাসানও প্রথম ওভারে মাত্র এক রান দিয়ে অধিনায়কের আস্থার জবাব দিলেন৷
পরের ওভারে মাশরাফি নিজেই এলেন৷ তিনিও করলেন মোটামুটি একটি ওভার৷ কিন্তু যতই সময় গড়াতে লাগল, দুই ইংলিশ ওপেনিং ব্যাটসম্যান জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো মারমুখি হতে লাগলেন৷ বিশেষ করে রয় কাউকেই ছেড়ে কথা বললেন না৷ আর ফ্ল্যাট উইকেটটিও শুনছিল না বোলারদের কথা৷
১৫ ওভারেই স্বাগতিক দেশটির সংগ্রহ শতরান পেরোয়৷ দলীয় সংগ্রহ ১২৮ রানের মাথায় এই জুটি ভাঙ্গেন মাশরাফি৷ সাজঘরে ফেরান বেয়ারস্টোকে ব্যক্তিগত ৫১ রানে৷ কিন্তু তাতে রানের চাকা থামেনি আয়োজকদের৷ ৯২ বলে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি তুলে নেন রয়৷ ৫টি ছয় ও ১৪টি চারে সাজানো ১২১ বলে ১৫৩ রানের ইনিংসটি থামে মিরাজের বলে৷ সে ওভারের প্রথম তিনটি বলে তিনটি ছয় মেরে চতুর্থ বলে ক্যাচ দেন রয়৷
এরপর শুরু হয় জস বাটলারের ঝড়৷ ৪৪ বলে ৬৪ রান করে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন তিনি৷ বোলার ছিলেন সাইফুদ্দিন৷ এই ডানহাতি পেসার এর আগে জো রুটকেও ফিরিয়েছেন৷
উইকেট ব্যাটসম্যানদের পক্ষে থাকায় লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে ইংলিশরা এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও রানের গতি সচল রাখেন৷ শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ৩৮৬ রানের বিরাট সংগ্রহ দাঁড় করান তারা৷
শুধু এই বিশ্বকাপই নয়, ইংলিশদের জন্য এটি যে কোনো বিশ্বকাপেই সবচেয়ে বড় ইনিংস৷ এছাড়া টানা সাত ওয়ানডেতে তিনশ’র ওপরে রান করে বিশ্বরেকর্ডই করে ফেলেছে তারা৷