কারণ পতিতাদের ভয় এবং...
১৭ এপ্রিল ২০১৩ভারত বিশাল দেশ, জনসংখ্যাও এত বেশি যে বড় বাজার হিসেবে বিশ্বসেরা সব প্রতিষ্ঠানেরই সব সময় চোখ থাকে সেদিকে৷ প্লেবয় নিয়েছে ভারতে আগামী দশ বছরে ১২০টি ক্লাব, হোটেল, ফ্যাশন ক্যাফে আর দোকান খোলার পরিকল্পনা৷ ক্লাব, হোটেল, দোকান যা-ই বলুন, সাধারণের চেয়ে একটু অন্যরকম ব্যাপার-স্যাপার যে সেখানে গুরুত্ব পাবে তা কে না বোঝে! প্লেবয় মানেই নগ্নতা আর যৌনতা৷ প্লেবয় ম্যাগাজিনের নাম কে না শুনেছেন!
ভারতে অবশ্য প্লেবয় তো বটেই, এ ধরণের ‘প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য' প্রায় সব পত্র-পত্রিকাই নিষিদ্ধ৷ তাই একটা কৌশল নিয়েছিল প্লেবয়৷ জানিয়েছিল, গোয়া রাজ্যের ক্যানডলিম সৈকতে যে ক্লাবটি করা হবে সেখানে কেউ বিবস্ত্র হয়ে ঘোরাফেরা করবেনা৷ বাইরে যা কিছু হবে সব ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি যতটা সম্ভব শ্রদ্ধা রেখে৷ কথার সঙ্গে কাজের মিল দেখাতে মেয়েদের জন্য একটা বিশেষ পোশাকের ডিজাইনও করে ফেলেছে তারা৷ শুনতে ভালোই লাগে, তাইনা! কিন্তু বিষয়টা ভারতের সবার ভালো লাগেনি৷ রাজ্যের এক সাংসদ তো গত সপ্তাহে বলেই দিয়েছেন, গোয়ায় প্লেবয় ক্লাব করার অনুমতি দেয়া হলে এর প্রতিবাদে অনশন শুরু করবেন৷
কিন্তু কারো অনশন বা মিটিং-মিছিলের আপাতত প্রয়োজন পড়ছেনা৷ ভারতে এমনিতেই পতিতাবৃত্তি বেশ বেড়েছে৷ প্লেবয় ক্লাব হলে আশপাশের মানুষদের টেকা দায় হয়ে যাবে ভেবে প্রতিবাদমুখর হয়েছিলেন অনেকেই৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন সে কারণে নয়, প্লেবয় ক্লাবকে অনুমতি দেয়া হচ্ছেনা অন্য কিছু সমস্যার জন্য৷ আইন অনুযায়ী সেখানে প্লেবয় ক্লাব করতে হলে অনুমতি নিতে হবে স্থানীয় কোনো ব্যক্তির নামে, কোনো প্রতিষ্ঠানের নয়৷ তা এ পথে সে পথে টাকা রোজগার করার খায়েশ তো অনেকেরই আছে, তাই বলে নিজের নাম জানিয়ে প্লেবয় ক্লাবের সঙ্গে জড়ানো? টাকার কুমিরদের এত উত্থান কিংবা পতন যে গোয়ায় অন্তত এখনো হয়নি সেটা এবার বেশ পরিষ্কার হয়ে গেল৷
তবে কারো এগিয়ে আসার সময় অবশ্য ফুরিয়ে যায়নি৷ এলেও সমস্যা থাকবে৷ গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিকার রাজ্য সভায় বলেছেন, প্লেবয়ের ভারতীয় প্রতিনিধি হয়ে পিবি লাইফস্টাইল যে আবেদন করেছে সেখানে সমুদ্র সৈকতে ক্লাবঘর করতে গেলে যে সব শর্ত পূরণ করতে হবে তার অনেকগুলোর উল্লেখই নেই৷ সুতরাং চোখে ধুলো দিয়ে কেউ কাজ বাগিয়ে নেবেন, সেটি কিন্তু হচ্ছে না বাপু!
এসিবি/এসবি (এএফপি)