1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাটালুনিয়ার স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয়ার হুমকি

৮ অক্টোবর ২০১৭

স্পেনের সরকার প্রধান কাটালান নেতাদের হুমকি দিয়ে বলেছেন যে, সে অঞ্চল স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে ফল ভালো হবে না৷ কাটালুনিয়ায় সম্প্রতি এক বিতর্কিত গণভোটের আয়োজন করা হয়, যা স্পেনে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছে৷

https://p.dw.com/p/2lSb0
Spanien Demonstration gegen Unabhängigkeit Kataloniens in Madrid
ছবি: picture-alliance/dpa/P. White

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাখোই রবিবার বলেছেন, কাটালুনিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে তাদের স্বায়ত্তশাসনের ক্ষমতা স্থগিত করা হবে৷ গত সপ্তাহে সেখানে বিতর্কিত এক গণভোটের পর এই প্রথম মুখ খুললেন রাখোই৷ তিনি বলেন, ‘‘স্বাভাবিকভাবে, আমার মনে হয় না, আমাদের সেরকম কঠোর কোনো উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজন আছে৷ কিন্তু সেই পরিস্থিতি এড়াতে হলে যা হবার নয় তা করার চেষ্টা বন্ধ করতে হবে৷''

মাদ্রিদভিত্তিক সংবাদপত্র এল পাইসকে তিনি আরো বলেন, ‘‘আমি সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করবো... আমি চাই স্বাধীনতা ঘোষণার হুমকি যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যাহার করা হোক৷'' 

প্রসঙ্গত, স্পেনের সর্বোচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত পহেলা অক্টোবর কাটালুনিয়ায় স্বাধীনতা বিষয়ক গণভোটের আয়োজন করেন স্থানীয় নেতারা৷ গণভোটে স্বাধীনতার পক্ষে রায় দেন অধিকাংশ মানুষ৷ ফলে এক রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয় স্পেনে৷

এদিকে, শনিবার স্পেনের বিভিন্ন শহরে কাটালুনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষের এবং বিপক্ষের গোষ্ঠী রাজপথে বিক্ষোভে অংশ নেয়৷ তারা মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনার মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে৷ ‘‘লেটস টক'' ব্যানার হাতে এক বিক্ষোভে অংশ নেয়া ৬১ বছর বয়সি কাটালান অর্থনীতিবিদ মানুয়েল গর্সিয়া বলেন, ‘‘স্বাধীনতার বিষয়টি কাটালুনিয়াতে এক সামাজিক বিচ্ছেদ সৃষ্টি করছে, আমি মনে করি সিদ্ধান্ত ঘোষণার মাধ্যমে নয়, বরং সংলাপের মাধ্যমে এই ইস্যুর সমাধান করতে হবে৷''

মাদ্রিদে বিক্ষোভে ‘‘কাটালুনিয়া, উই লাভ ইউ'' লেখা ব্যানার প্রদর্শন করেন বিক্ষোভকারীরা৷ তবে কোনো কোনো বিক্ষোভকারী কাটালুনিয়ার স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহারের ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন৷

উল্লেখ্য, কাটালুনিয়া সরকার শুক্রবার জানিয়েছে যে গণভোটে অংশ নেয়াদের নব্বই শতাংশই স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিয়েছেন৷ তবে মাত্র ৪৩ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন৷ স্থানীয় গণমাধ্যমের দাবি, যারা স্বাধীনতার পক্ষে নন, তারা এই গণভোটে অংশ নেননি৷ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪ হাজার বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করেছে স্পেন সরকার৷

এআই/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)