সিরিয়া সরকার ও বিরোধীপক্ষের বৈঠক
২৩ জানুয়ারি ২০১৭বৈঠক শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও কাজাখ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী রোমান ভাসিলেঙ্কো বলছিলেন যে, উভয় পক্ষ সরাসরি আলাপ-আলোচনা সম্পর্কে এখনও একমত হতে পারেনি৷ বলতে কি, ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়া যাবৎ বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের প্রতিনিধি ও সিরিয়া সরকারের মধ্যে কোনো একক পারস্পরিক আলোচনা সংঘটিত হয়নি৷
রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরান আস্তানা আলাপ-আলোচনার আয়োজন করেছে৷ রাশিয়া ও ইরান আসাদ সরকারের মিত্র, তুরস্ক বিদ্রোহীদের সমর্থক৷ বহু ঘণ্টার আলোচনা সত্ত্বেও, তিন পৃষ্ঠপোষক দেশ আসাদ সরকার ও বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিদের সামনে পেশ করার মতো একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সম্পর্কে একমত হতে পারেনি, বলে রবিবার সন্ধ্যায় রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা টাস জানায়৷
আস্তানা বৈঠকের লক্ষ্য সম্পর্কেও দৃশ্যত দু'পক্ষের দুই মত৷ বিরোধী প্রতিনিধিদলের এক মুখপাত্র ইয়াহিয়া আল আরিদি রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে সোমবার বলেন, ‘‘আমরা কোনোরকম রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনার দিকে যাব না এবং যুদ্ধবিরতি মেনে চলা, অবরুদ্ধ সিরীয়দের প্রতি মানবিক সাহায্য ও বন্দিমুক্তি'' ইত্যাদি বিষয়কে কেন্দ্র করে আলোচনা হবে৷ অপরদিকে আসাদ সংঘাতের একটি ‘‘সর্বাঙ্গীণ'' রাজনৈতিক সমাধানের ডাক দিয়েছেন৷
এখনও আশা করা হচ্ছে যে, আস্তানার আলাপ-আলোচনা থেকে জেনেভায় জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় শান্তি আলাপ-আলোচনা আবার শুরু হতে পারবে৷ সিরিয়ার জন্য জাতিসংঘের বিশেষ মধ্যস্থ স্তাফান দে মিস্তুরা আস্তানার বৈঠকে উপস্থিত আছেন৷ অপরদিকে মস্কো সরকার নতুন ট্রাম্প প্রশাসনকে শেষ মুহূর্তে আস্তানা বৈঠকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র সে আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি৷ কাজেই আস্তানা আলাপ-আলোচনায় পশ্চিমা বিশ্ব পুরোপুরি অনুপস্থিত৷
এসি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)