কলকাতায় চীনা নববর্ষের উৎসব
বহু দশক ধরে কলকাতায় চীনাদের বসবাস। অন্য বছরের মতো এবারও কলকাতার চীনারা পালন করলেন বর্ষবরণের উৎসব।
কলকাতার চীনাপট্টি
কলকাতার একাধিক অঞ্চলে চীনাদের বসবাস। চায়না টাউন, টেরিটি বাজার, বো-ব্যারাক-সহ একাধিক জায়গায় বহু দশক ধরে তারা বসবাস করেন।
চীনা ক্যালেন্ডার
মঙ্গলবার চীনের মতোই কলকাতাতেও চীনারা পালন করেন বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। চীনা ক্যালেন্ডার দেখাচ্ছেন এক ব্যক্তি।
ড্রাগন ডান্স
কলকাতায় রাস্তায় এভাবেই দিনভর ড্রাগন ডান্স করেছেন চীনবংশোদ্ভূতরা। এই মুহূর্তে কলকাতায় চতুর্থ ও পঞ্চম প্রজন্মের চীনারা বসবাস করছেন। সব মিলিয়ে তিন হাজারেরও বেশি।
রাস্তাজুড়ে উৎসব
এবাবেই রাস্তাজুড়ে উৎসব পালিত হয়েছে। চীনাদের পাশাপাশি বহু বাঙালিও সেই উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন।
করোনার ভয়
করোনার কারণে এবারের উৎসবে বেশ কিছু বিধিনিষেধ ছিল। বাড়ি থেকেই অনেকে ড্রাগন ডান্স উপভোগ করেছেন।
কলকাতায় ভয় নেই
গত কয়েকবছরে চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হয়েছে। কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল লাদাখে। কিন্তু কলকাতার চীনাদের বক্তব্য, এই শহর কখনোই তাদের দূরে ঠেলে দেয়নি।
একই মত বাঙালিদের
কলকাতার বাঙালিরাও মনে করেন, চীনা সংস্কৃতি কলকাতার সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ। এবং সে কারণেই চীনাদের উৎসবে বাঙালিরাও অংশ নেন।
চায়না টাউনের টান
কলকাতার চায়না টাউনে একাধিক চীনা রেস্তোরাঁ আছে। এখনো চীনা খাবার খাওয়ার জন্য কলকাতার বাঙালি মূলত সেখানেই যান। একসময় ছোট ছোট চীনা বাড়িতেও দুই-তিন টেবিলের রেস্তোরাঁ ছিল। পাওয়া যেত ঘরোয়া খাবার। এখন তেমন রেস্তোরাঁর সংখ্যা কম।
জীবিকার সন্ধানে বিদেশে
নতুন প্রজন্মের বহু চীনা যুবক-যুবতী কলকাতা ছেড়ে ক্যানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাচ্ছেন কাজের সন্ধানে। গত কয়কে দশকে কলকাতায় চীনাদের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো কমেছে বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য।