করোনার বিরুদ্ধে যক্ষ্মার টিকা কি কার্যকর?
৩ এপ্রিল ২০২০নিউ ইয়র্ক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলোজি (এনওয়াইআইটি)-র গবেষকরা বলছেন, করোনায় সবচেয়ে বেশি (১৩,৯১৫ জন) মানুষ মারা যাওয়া ইটালিতে কখনো সার্বজনীনভাবে যক্ষার টিকা (বিসিজি) দেয়া হয়নি৷সেখানে শুধুমাত্র যাঁদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয় তাঁদের এই টিকা দেয়া হয়৷
সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের দেশ যুক্তরাষ্ট্রেও (২,৪৫,৫৭৩ জন) ইটালির মতোই ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে বিসিজি টিকা দেয়া হয়৷
এনওয়াইআইটির গবেষণাটি এখনো প্রকাশ করা হয়নি৷অন্য গবেষকদের পর্যালোচনার জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে সেটি রাখা হয়েছে৷
যক্ষ্মার বিরুদ্ধে লড়তে ১৯২০-এর দশকে বিসিজি টিকা আবিষ্কার করা হয়েছিল৷বর্তমানে বিশ্বের ১৩ কোটির বেশি শিশুকে প্রতিবছর বিসিজি টিকা দেয়া হচ্ছে৷
সাধারণত একটি টিকা একটি নির্দিষ্ট প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে কার্যকর হয়ে থাকে৷ অর্থাৎ কাউকে কোনো রোগের টিকা দিলে সেটি শুধু নির্দিষ্ট ঐ রোগের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলে, যাকে বলে ‘অ্যাডাপ্টিভ ইমিউন সিস্টেম’৷
কিন্তু অনেক বিজ্ঞানী মনে করছেন, বিসিজি টিকা হয়ত এর চেয়ে আরেকটু বেশি কার্যকর৷তাঁদের ধারণা, এই টিকা হয়ত যক্ষ্মার জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করার পাশাপাশি ব্যাক্তির ‘ইনেট ইমিউন সিস্টেম'ও শক্তিশালী করতে পারে৷ এটি সেই ইমিউন সিস্টেম, যা শরীরে কোনো ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে মেরে ফেলার চেষ্টা করে৷
এ কারণে অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসে করোনা মোকাবিলায় বিসিজি টিকা কতখানি কার্যকর তা জানার চেষ্টা চলছে৷এই টিকা করোনা আক্রান্ত রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত লক্ষণ কমাতে পারে কিনা তা জানতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা৷
অস্ট্রেলিয়ার প্রায় চার হাজার হাসপাতাল কর্মীর উপর এই টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে৷
বিসিজি টিকার কার্যকারিতা জানতে কয়েক মাস লেগে যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)