করোনার আরো এক নতুন প্রজাতি চিহ্নিত
৬ জানুয়ারি ২০২২ডিসেম্বরে ক্যামেরুন থেকে ফ্রান্সে ফিরেছিলেন এক ব্যক্তি। ফ্রান্সে এসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার শরীর থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল সেখানেই নতুন করোনার প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। ভাইরোলজিস্টদের ভাষায় নতুন প্রজাতিটির নাম বি দশমিক এক দশমিক ৬৪০ দশমিক দুই।
নতুন প্রজাতির করোনা কতটা বিপজ্জনক তা এখনো অজানা। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রজাতিতে মিউটেন্টের সংখ্যা অনেক বেশি। ফলে এর সংক্রমণ ক্ষমতাও বেশি হওয়ার কথা। যে ব্যক্তি ক্যামেরুন থেকে নতুন প্রজাতিটি নিয়ে এসেছেন, সব মিলিয়ে ১২ জনের মধ্যে তার মাধ্যমে করোনা সংক্রমিত হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানতে পেরেছেন।
নতুন প্রজাতির মধ্যে দুইটি মিউটেন্ট মিলেছে, যা আগের প্রজাতিগুলির মধ্যে ছিল। যার একটি শরীরে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে এবং অন্যটি টিকার কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। প্রথম মিউটেন্টটি আলফা প্রজাতির ভাইরাসে ছিল। দ্বিতীয়টি ছিল ডেল্টায়।
ওমিক্রন নিয়েও প্রথম দিকে বিজ্ঞানীরা সন্দিহান ছিলেন। এই প্রজাতি কতটা ক্ষতি পারে, তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা ছিল না। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এই প্রজাতির সংক্রমণ ভয়াবহ হলেও ক্ষতি খুব বেশি হচ্ছে না। অর্থাৎ, ডেল্টার মতো মারণ ক্ষমতা নেই এই প্রজাতির। বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক ধারণা নতুন পাওয়া ভাইরাসটিও ওমিক্রনের মতোই হবে। সংক্রমিত হলেও মারণ ক্ষমতা কম হবে। শুধু তাই নয়, এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাস যেভাবে ছড়িয়েছে, তাতে এর সংক্রমণ ক্ষমতাও কম হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। তবে এখনো পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক রিপোর্টে অবশ্য ওমিক্রন নিয়ে আরো বেশ কিছু ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, এই ভাইরাস ফুসফুসকে খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারছে না। ডেল্টা যা মারাত্মকভাবে করেছিল। এবং সে কারণেই ওমিক্রন আক্রান্তদের মৃত্যু সেভাবে হচ্ছে না।
ফ্লুরোনার রোগী
এরই মধ্যে ইসরায়েলে নতুন এক রোগের সন্ধান মিলেছে। ৩১ বছরের এক গর্ভবতী নারীর শরীরে একই সঙ্গে ফ্লু এবং করোনার ভাইরাস মিলেছে। এই প্রথম দুইটি ভাইরাস একসঙ্গে কারো শরীরে পাওয়া গেল। গর্ভবতী ওই নারীকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)