করোনার সময়ে অর্থনৈতিক মন্দায় জার্মানি
১৫ মে ২০২০ডেস্টাসিস বলছে, এ বছরের প্রথম কোয়ার্টারে (জানুয়ারি-মার্চ) জিডিপি কমেছে ২.২ শতাংশ৷ ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর এটাই সবচেয়ে খারাপ অবস্থা৷ বিশ্লেষকরা অবশ্য় জিডিপি দুই শতাংশ কমতে পারে বলে আশা করছিলেন৷
এছাড়া গতবছরের চতুর্থ কোয়ার্টার, অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর সময়ে জিডিপি ০.১ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে ডেস্টাসিস৷ এর আগে ঐ সময়ে শূন্য প্রবৃদ্ধি হয়েছিল বলে জানানো হয়েছিল৷ শুক্রবার এই তথ্য সংশোধন করা হয়৷
করোনার কারণে এ বছরের দ্ৱিতীয় কোয়ার্টারে জিডিপি আরও বেশি কমতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে৷ কারণ করোনা, মোকাবিলা করতে মার্চের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের প্রথম পর্যন্ত জার্মানিতে সবকিছুতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল৷ ফলে আর্থিক কর্মকাণ্ড ও উৎপাদন প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল৷ এই অবস্থায় কোনো কোনো অর্থনীতিবিদ দ্বিতীয় কোয়ার্টারে জিডিপি ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমারও আশঙ্কা করছেন৷
জার্মানির অর্থনীতির মূল ভিত্তি হচ্ছে শিল্পজাত পণ্য রপ্তানি৷ ব্রেক্সিট ও মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে রপ্তানি আদেশ ৯ শতাংশ কমে গিয়েছিল, যা ১৯৯১ সালের পর সর্বোচ্চ৷
অবশ্য জার্মানির অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী পেটার আল্টমায়ার বলছেন, বিধিনিষেধ শিথিল করায় অর্থনীতিতে গতি ফিরে আসতে শুরু করেছে৷
২০২০ সালে জার্মানির জিডিপি ৬.৬ শতাংশ কমার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা৷ সেটা হলে ১৯৭০ সাল থেকে হিসাব রাখা শুরুর পর এটিই হবে জার্মানির সবচেয়ে খারাপ মন্দা৷
কোয়ারান্টিনের নিয়ম শিথিল করছে জার্মানি
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, শেঙেনভুক্ত দেশ ও ব্রিটেন থেকে জার্মানিতে আসা ভ্রমণকারীদের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টিনের নিয়ম শিথিল করা হবে বলে শুক্রবার জানিয়েছে জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যেসব এলাকায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বেশি সেসব এলাকা থেকে আসা ভ্রমণকারীদেরই শুধু কোয়ারান্টিনের পরামর্শ দেয়া হবে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে। তবে কীভাবে তা নির্ধারণ করা হবে, সে ব্যাপারে এখনও কাজ করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
ইইউর বাইরে থেকে আসা ব্য়ক্তিদের জন্য দুই সপ্তাহের বাধ্যতামুলক কোয়ারান্টিনের নিয়ম চালু থাকবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ,রয়টার্স)