1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কমছে করোনা, রমজানে মসজিদ খুললো ইরানে

২৭ এপ্রিল ২০২০

করোনা সংকট কাটিয়ে ধীরে ধীরে মসজিদ খুলছে ইরানে। ইটালিতে লকডাউন উঠবে ৪ মে। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে স্পেন।

https://p.dw.com/p/3bS3a
ছবি: ISNA

গোটা বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মোট আক্রান্ত প্রায় ৩০ লাখ। তবে আশার কথা, ইটালি, স্পেন সহ ইউরোপের অধিকাংশ দেশ ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। ইটালি জানিয়েছে, আগামী ৪ মে থেকে লকডাউন ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হবে। অ্যামেরিকাও প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই নিশ্চিন্ত হওয়ার কারণ নেই। যে কোনও সময় করোনার ভয়াবহতা ফিরে আসতে পারে। ইরানেও করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি এলাকা সম্পূর্ণ করোনামুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ওই অঞ্চলগুলিতে আজ, সোমবার থেকে মসজিদ খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে।

দীর্ঘ দিন ধরে করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের পরে অবশেষে রমজান মাসে সামান্য হলেও স্বস্তি পেল ইরান। এখনও পর্যন্ত সে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজার ৭০০ জনের। আক্রান্ত প্রায় এক লাখ। গত দুই মাস ধরে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা ভাইরাস। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন দেশের প্রশাসনিক কর্তারাও। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সমস্ত মসজিদ। অবশেষে রমজান মাসে পৌঁছে মসজিদ খুলতে শুরু করলো ইরান। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে পরিস্থিতি ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। বেশ কিছু অঞ্চলকে সম্পূর্ণ করোনামুক্ত করা গিয়েছে। ওই সমস্ত অঞ্চলেই মসজিদ গুলি খোলা হয়েছে। তবে এখনই মসজিদে ভিড় করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তবে আগামী শুক্রবার মসজিদে জুম্মার নামাজ হবে। সাধারণ মানুষ তাতে অংশ নিতে পারবেন। 

সুখবর ইউরোপেও। সেখানে করোনায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ইটালি এবং স্পেন। দু'টি দেশই জানিয়েছে, গত দুই দিনে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো কম। দু'টি দেশই জানিয়েছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেওয়া হবে। জীবনযাত্রাও ক্রমশ স্বাভাবিক করা হবে। যদিও করোনা যাতে ফের মহামারি হয়ে ফিরে আসতে না পারে, সে জন্য সামাজিক দূরত্ব সহ বেশ কিছু নিয়ম জারি রাখা হবে। ইটালি জানিয়েছে, ৪ মে লকডাউন তুলে নিলে বার এবং রেস্তোরাঁও খোলা যাবে। তবে শুধুমাত্র ডেলিভারি দেওয়া যাবে। এখনই বসে খাওয়ার ব্যবস্থা চালু করা যাবে না। সাধারণ লোক বাড়ি থেকে বেরতে পারবেন, কাজেও যোগ দিতে পারবেন, কিন্তু নিজেদের এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না। অর্থাৎ, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে আপাতত যাতায়াত করা যাবে না। ১৮ মে-র পর থেকে খুলে দেওয়া হবে গ্যালারি এবং জাদুঘর।

অ্যামেরিকার পরিস্থিতিও সামান্য উন্নতি করেছে। প্রথম দুই সপ্তাহে যে ভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ছিল, তা কিছুটা হলেও আটকানো গিয়েছে। সব চেয়ে ভয়াবহ অবস্থা নিউ ইয়র্কে। এখনও পর্যন্ত শুধু সেখানেই আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় তিন লাখ লোক। মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ২৭৫ জনের। তবে নিউ ইয়র্কের গভর্নর জানিয়েছেন, পরিস্থিতি আগের চেয়ে স্থিতিশীল। তবে এর মধ্যেও বিতর্ক জারি রেখেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাঁকে নিয়ে ভুয়া রিপোর্ট করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিবকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনাই তাঁর নেই। যদিও কয়েকদিন আগে ট্রাম্পের পারিষদরাই জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যসচিবের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট। তাঁকে সরিয়ে দেওয়ারও কথা ভাবছেন।

এ দিকে অস্ট্রেলিয়া দেশের নাগরিকদের হাতে তুলে দিয়েছে নতুন একটি অ্যাপ। এই অ্যাপের সাহায্যে প্রশাসন সহজেই করোনা আক্রান্ত রোগীকে চিহ্নিত করতে পারবে। সকলকে এই অ্যাপ ডাউনলোড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা যে হারে বাড়ছিল, তা খানিকটা হলেও কমেছে। তবে চিন্তা পুরোপুরি দূর হয়ে যায়নি। বিশেষ করে এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলিতে এখনও সংক্রমণের হার বেশি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)