কড়া লকডাউন নেদারল্যান্ডসে, পঞ্চম ঢেউয়ের আশঙ্কা ইউরোপে
২০ ডিসেম্বর ২০২১শনিবার আচমকাই দেশ জুড়ে কড়া লকডাউন ঘোষণা করেছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে ক্রিসমাস মার্কেট সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, শুধুমাত্র অতিপ্রয়োজনীয় এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান খোলা থাকবে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ক্রিসমাসের কথা ভেবেই এ কাজ করেছে নেদারল্যান্ডসের প্রশাসন। কারণ, করোনা ভুলে মানুষ একাধিক ক্রিসমাস মার্কেটে ভিড় জমাচ্ছিলেন। ক্রিসমাস এবং নতুন বছরের সময় ভিড় আরো বাড়তো বলেই মনে করেছে দেশের প্রশাসন। এবং সে কারণেই আচমকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার রাতে লকডাউন ঘোষণার পরেই মানুষ তড়িঘড়ি দোকানে গিয়ে ক্রিসমাসের উপহার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে শুরু করেন।
নেদারল্যান্ডসের এই কাজ নিয়ে অবশ্য বিতর্কও শুরু হয়েছে। লকডাউন বিরোধী মানুষ এর তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। তাদের বক্তব্য, দেশে এখন ওমিক্রনের প্রভাব কমতে শুরু করেছে। রেকর্ড সংখ্যা হয়েছিল এক সপ্তাহেরও বেশি আগে। তাহলে এখন কেন হঠাৎ লকডাউন ঘোষণা হলো। বস্তুত, এর আগে দেশে লকডাউনের প্রতিবাদে রীতিমতো দাঙ্গা করেছিল লকডাউন বিরোধী মানুষ।
জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, ক্রিসমাসের আগে কোনোভাবেই লকডাউন ঘোষণা করা হবে না। তবে টিকা নেওয়া না থাকলে ওই সমস্ত ব্যক্তিরা কোথাও যোগ দিতে পারবেন না বলে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। টিকার বিষয়ে আরো কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবছে জার্মানি। তবে জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যেভাবে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে নতুন বছরে করোনার পঞ্চম ঢেউ যে আসবেই, তা মোটামুটি স্পষ্ট।
মার্কিন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ভাইরোলজিস্ট অ্যান্টনি ফাউচি জানিয়েছেন, অ্যামেরিকাতেও ওমিক্রন প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন বছরে অ্যামেরিকাতেও নতুন ঢেউয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। মার্কিন মানুষকে দ্রুত টিকা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি, সঙ্গে বুস্টার নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। তবে অ্যামেরিকাতে লকডাউনের সম্ভাবনা নেই বলে আগেই জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওমিক্রন নিয়ে মার্কিন নাগরিকদের দুশ্চিন্তা করতে নিষেধ করেছিলেন তিনি।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)