কঠিন পথে আয়ারল্যান্ড, জনরোষ বাড়ছে
২৫ নভেম্বর ২০১০প্রথমে দেশের প্রায় গোটা ব্যাঙ্কিং কাঠামোয় সংকট, তাদের বাঁচাতে সরকারের হস্তক্ষেপ, হস্তক্ষেপের ফলে সরকারি রাজকোষে ফাটল, ঘাটতি মেটাতে বাধ্য হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে হাত পাতা এবং সবশেষে সাহায্যের মূল্য চোকানো, অর্থাৎ ব্যাপক মাত্রায় সরকারি ব্যয় কমানোর ঘোষণা – অল্প কথায় আয়ারল্যান্ডের বর্তমান পরিস্থিতির এমন বর্ণনা দেওয়া যেতে পারে৷ তবে জনগণকে ঠিক কতটা মূল্য চোকাতে হবে, বুধবার তা জানালেন আইরিশ প্রধানমন্ত্রী ব্রায়ান কাউয়িন৷ প্রায় দেড় হাজার কোটি ইউরো মূল্যের সরকারি ব্যয় সংকোচের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি, যা আগামী ৪ বছর ধরে কার্যকর করা হবে৷ সরকারি স্তরে ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই, পণ্য ও পরিষেবার উপর ধাপে ধাপে ‘ভ্যাট' করের হার বাড়ানো, সামাজিক সুরক্ষা খাতে ব্যাপক কাটছাঁটের মত অপ্রিয় সিদ্ধান্তও নিতে চলেছে সরকার৷ এর বদলে আয়ারল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আইএমএফ'এর কাছ থেকে প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি ইউরো সাহায্য পাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷
ইউরোপের নেতাদের শিক্ষা
জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, এবার সময় এসে গেছে৷ বাজারকে দেখিয়ে দিতে হবে, কার হাতে ক্ষমতা রয়েছে৷ ভবিষ্যতে ঋণ সংকট দেখা দিলে লগ্নিকারীদেরও যাতে তার দায় নিতে হয়, তেমন ব্যবস্থা করতে হবে৷ কারণ তারা শুধু মুনাফা করবেন, আর সংকটের সময় উধাও হয়ে যাবেন, এমনটা চলতে পারে না৷ ম্যার্কেল বেশ কিছুকাল ধরেই বেশ কিছু কড়া কাঠামোগত পরিবর্তনের কথা বলে চলেছেন, যা অবশ্য সবার মনে ধরছে না৷
ইউরোর ভবিষ্যৎ
স্লোভাকিয়ার অর্থমন্ত্রী ইউরো এলাকায় ভাঙনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷ তবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এমন আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে৷ তাদের বক্তব্য, গ্রিসের সংকটের পর যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার ফলে ইউরো এলাকা আগের তুলনায় বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে অনেক বেশি প্রস্তুত৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়