কটাক্ষ করেও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কথা চায় ফ্রান্স
৩০ নভেম্বর ২০২১ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জঁ কাস্টেক্স যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে চিঠি লিখতে পারেন বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সোমবার দেশের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরাল্ড ডারমানিনের বক্তব্য, ফ্রান্স এবং ইইউ প্রথম থেকেই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইংলিশ চ্যানেল নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী। কিন্তু তার অভিযোগ, যুক্তরাজ্য এ বিষয়ে দুমুখো নীতি নিয়ে চলেছে। একদিকে তারা বৈঠকে আগ্রহ দেখাচ্ছে, অন্যদিকে নৌকাডুবির ঘটনার জন্য ফ্রান্সের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।
বস্তুত, গত সপ্তাহে ইংলিশ চ্যানেলে সবচেয়ে বড় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। শিশু, নারী-সহ ২৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়। যার পরেই ফ্রান্সের উপর দায় চাপিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁকে একটি খোলা চিঠি দেন। তারপর থেকে ওই দুর্ঘটনা নিয়ে ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
ফ্রান্স জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য চায়, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য ইংলিশ চ্যানেলে যৌথ পেট্রোলিং করুক। কিন্তু ফ্রান্স তা মানতে চায়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, যুক্তরাজ্যের বিচে ফ্রান্সের পুলিশ ঘুরে বেড়াচ্ছে, এমন দৃশ্য মোটেই কাঙ্খিত নয়। বরং ইইউ এর সঙ্গে চুক্তি করুক যুক্তরাজ্য। কীভাবে অভিবাসীপ্রত্যাশিদের যুক্তরাজ্যে অভিবাসন দেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে স্পষ্ট নীতি তৈরি করুক যুক্তরাজ্য।
শুধু তাই নয়, পাচারকারীদের রুখতেও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেছে ফ্রান্স। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সীমান্তে পাচারকারীদের রুখতে নিরাপত্তরক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
এসজি/জিএইচ (এএফপি, রয়টার্স)