‘এ মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’
২৭ ডিসেম্বর ২০১১ট্রাইবুনালের প্রসিকিউশন গত ১২ই ডিসেম্বর গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ৫২ দফা অভিযোগ উপস্থাপন করে তাঁকে গ্রেপ্তারের আবেদন জানায়৷ ট্রাইবুনাল এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২৬শে ডিসেম্বর দিন ধার্য্য করে৷
সোমবার সকালে বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইবুনাল জানায় যে, আগের প্রতিবেদনটি নিয়ম মাফিক সাজানো হয়নি৷ সেটি পুনর্বিন্যস্ত করে, ৫ই জানুয়ারির মধ্যে সেটা আবার ট্রাইবুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিতে হবে৷ ট্রাইবুনালের তদন্ত সংস্থা গত ১লা নভেম্বর গোলাম আযমের বিরুদ্ধে এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে জমা দেয়৷ সরকার পক্ষের প্রধান কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু বলেন, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে দাখিল করা অভিযোগগুলো সুবিন্যস্ত ছিল না এবং তা যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়নি৷ এসব বিবেচনা করেই ট্রাইবুনাল আগামী ৫ই জানুয়ারি পুণরায় আভিযোগ দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন৷ অর্থাৎ তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে এরপরই আদেশ দেবে আদালত৷
অপর দিকে, গোলাম আযমের আইজীবী ও জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, দুই বছর ধরে কাজ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আনুষ্ঠানিক আভিযোগ দাখিল করেছেন৷ কিন্তু আজও তাঁরা যথাযথ নিয়মে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আভিযোগ দাখিল করতে পারেননি৷ এ থেকেই প্রমাণ হয় যে, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে এ মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও আসলে তাঁকে হেয় করার জন্য৷
প্রসঙ্গত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মো. মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মো. কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা এবং বিএনপি নেতা সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জিয়াউর রহমান আমলের মন্ত্রী আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধেও বিচার কাজ চলছে৷ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ