ডেঙ্গু
৪ নভেম্বর ২০১২গত নয় মাসে ভারতে মারা গেছেন মোট ১০০ জন৷ এটা সরকারের দেয়া হিসেব৷ কিন্তু ওই একশতে যশ চোপড়া নামটি যোগ হওয়ার আগ পর্যন্ত তেমন টনক নড়েছে কি কারো? ভারতের কথা আপাতত থাক৷ চিত্রপরিচালক যশ চোপড়ার মৃত্যুর আগে থেকেই বাংলাদেশসহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশে প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে ডেঙ্গু৷ বিস্তার এত বড় এলাকা জুড়ে হচ্ছে এবং রোগের ধরনও এত বদলে যাচ্ছে যে চিকিৎসকদের আশঙ্কা এডিস ছাড়া অন্য কোনো মশাও বহন করতে শুরু করেছে এ রোগের জীবাণু৷
বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়া, নেপাল, ভুটান, ফিলিপিনস, মালয়েশিয়া,ইন্দোনেশিয়া, পূর্ব তিমুর – এভাবে এডিস মশা যেন এশিয়ার নতুন নতুন দেশ জয় করছে৷ তাতে মানুষের বাড়ছে দুর্ভোগ৷ ভারতে গত নয় মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ১০৪ জন, মারা গেছেন ১০০ জন৷ শ্রীলঙ্কায় গত ছয় মাসেই আক্রান্ত ১২ হাজার ৩৩৬ জন, রোগভোগের পর এ পর্যন্ত ভবলীলা সাঙ্গ হয়েছে ৭৫ জনের৷ কম্বোডিয়ায় এ বছর এ পর্যন্ত আক্রান্ত ২ হাজার ২৮০, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও বলছে গত বছর এ সময়ে কম্বোডিয়ায় নাকি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল চার ভাগের এক ভাগ!
এভাবে হু হু করেই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ৷ রোগীরা তো বটেই, চিকিৎসকরাও আতঙ্কিত৷ কখনো কখনো রীতিমতো অসহায় বোধ করছেন তাঁরা৷ ঢাকার চিকিৎসক আব্বাস ভূইঞা ডয়চে ভেলেকে বলছিলেন, ‘‘ডেঙ্গুর তেমন কোনো চিকিৎসা নেই৷ কোনো ওষুধ নেই, প্রতিরোধক টিকা নেই৷'' চিকিৎসা বলতে জ্বর কমানোর চেষ্টা করা আর রক্তের প্লাটিলেট স্বভাবিক পর্যায়ে ফেরানোর সহজ উপায়গুলো কাজ না করলে শরীরে নতুন রক্ত দেয়া৷ গরীব মানুষ তো কিনে রক্ত দিতে পারেন না৷ সরকারি হাসপাতালে কত ব্যাগই বা রক্ত থাকে!
ডেঙ্গু নিয়ে ডাব্লিউএইচও-ও বেশ উদ্বিগ্ন৷ সংস্থাটির আশঙ্কা, যেভাবে বিস্তার বাড়ছে তাতে এই রোগে ভুগে বছরে ২০ হাজার লোক মারা যাবে৷ আর মৃতদের তালিকায় শিশুই থাকবে বেশি!