এশিয়ার দেশে রুশ জ্বালানি
২৩ অক্টোবর ২০১১রাশিয়া তার জ্বালানি রপ্তানির ক্ষেত্রটিকে কয়েকটি দিকে প্রসারিত করেছে৷ ইস্ট সাইবেরিয়ান প্যাসিফিক ওশান পাইপলাইন এই জ্বালানি রপ্তানির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে৷ তবে এই পাইপলাইন এখনো তৈরি হচ্ছে৷ এই পাইপলাইন তৈরিতে চীনও বিশেষ ভূমিকা রেখেছে৷ এই পাইপলাইনের সাহায্যে প্রতি বছর প্রায় ১৫ মিলিয়ন টন জ্বালানি তেল চীনে রপ্তানি করবে রাশিয়া৷
আশা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে এই পাইপলাইনের সাহায্যে গোটা এশিয়ায় প্রতি বছর প্রায় ৮০ মিলিয়ন টন জ্বালানি তেল সরবরাহ করা সম্ভব হবে৷ এবং এই ৮০ মিলিয়ন টনের মধ্যে চীন একাই পাবে ৩০ মিলিয়ন টনের কাছাকাছি৷ বাকি ৫০ মিলিয়ন টন যাবে এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতে৷
রাশিয়া প্রতি বছর প্রায় ১৮০ মিলিয়ন টন তেল ইউরোপে রপ্তানি করে থাকে৷ সেই তুলনায় এশিয়াতে রপ্তানি করা হচ্ছে মাত্র ৩৫ মিলিয়ন টন তেল৷
তবে রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি কোন কারণে এশিয়ার জন্য বরাদ্দকৃত জ্বালানি তেল ইউরোপে চলে যায় তাহলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না৷ এর কারণ হিসেবে তারা বলেন, এশিয়ায় যদি এত বিপুল পরিমাণে তেল রপ্তানি করা হয় তাহলে নিঃসন্দেহে ইউরোপে তেলের ঘাটতি দেখা দেবে৷ বিশ্লেষক ভিক্টর মার্কোভ জানান, রাশিয়া এই সুযোগে ইউরোপের সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম-দর নিয়ে আলোচনা করতে পারে৷ প্রয়োজনে তেলের দাম বাড়াতে পারে৷
তেলের মত গ্যাস রপ্তানি নিয়েও মস্কো চিন্তা-ভাবনা করছে৷ ইউরোপ ইতিমধ্যেই গ্যাস আমদানির ক্ষেত্রে রাশিয়ার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে রাজি নয়৷ তাই রাশিয়ার প্রয়োজন নতুন নতুন দেশ যারা কিনা রাশিয়ার কাছ থেকে গ্যাস আমদানি করবে৷ তাই গ্যাস রপ্তানি করতেও রাশিয়া ঝুঁকছে এশিয়ার দিকে৷ ধারণা করা হচ্ছে চীনে এবছরই বিভিন্ন জ্বালানির চাহিদা বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে৷
শুধু চীন নয় দক্ষিণ কোরিয়াও রুশ কোম্পানি গাসপ্রমের কাছ থেকে ভবিষ্যতে আরো বেশি করে জ্বালানি গ্যাস আমদানি করার কথা জানিয়েছে৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক