1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এর্দোয়ানের পদক্ষেপ ইতিবাচক, বললেন ম্যার্কেল

৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১

এর্দোয়ানের সঙ্গে কথা বললেন ম্যার্কেল। জানালেন, পূর্ব ভূমধ্যসাগর নিয়ে তুরস্কের পদক্ষেপকে তিনি স্বাগত জানাচ্ছেন।

https://p.dw.com/p/3p5TK
ম্যার্কেল ও এর্দোয়ান। ২০১৮ সালে ব্রাসেলসে তোলা ছবি। ছবি: picture-alliance/dpa/B. von Jutrczenka

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানকে তাঁর অভিমত খোলাখুলি জানালেন জার্মান চ্যান্সেলার ম্যার্কেল। জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ম্যার্কেল জানিয়েছেন, পূর্ব ভূমধ্যসাগর নিয়ে এর্দোয়ানের পদক্ষেপ ইতিবাচক।

এই দুই নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন। ম্যার্কেল বলেছেন, এখন আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া খুবই জরুরি।

অতীতে সাইপ্রাস ও গ্রিসের জলসীমায় তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ পাঠিয়ে ইইউ-কে উদ্বেগে রেখেছিলেন এর্দোয়ান। তাঁর দাবি ছিল, ওই এলাকা তুরস্কের জলসীমার মধ্যে পড়ে। এই নিয়ে তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। ইইউ বারবার তুরস্কের কাছে আবেদন জানায়, তারা যেন ওই তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ ফিরিয়ে নেয়। ওই এলাকায় তেল ও গ্যাসের খোঁজ বন্ধ করে। কিন্তু সেই অনুরোধে এর্দোয়ান কান দেননি।

গত ডিসেম্বরে ইইউ সিদ্ধান্ত নেয় তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তখন বিবৃতি দিয়ে ইইউ জানিয়েছিল, তুরস্ক একতরফাভাবে উস্কানিমূলক কাজ করে যাচ্ছে। সেই শীর্ষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা শুধু কয়েকজন নেতা বা কর্মকর্তার উপর হবে না, আরো ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তুরস্ক এবং ইইউ-র দেশগুলির মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সেক্ষেত্রে ব্যাহত হতো। তাতে তুরস্ক রীতিমতো ক্ষতির মুখে পড়ত। ঠিক ছিল, আগামী ২৫-২৬ মার্চ ইইউ-র বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এর্দোয়ান অবশ্য প্রথমে এই হুমকি অগ্রাহ্য করেছিলেন। কিন্তু পরে তাঁর সুর নরম হতে থাকে। তুরস্কের জাহাজও এখন আর তেল ও গ্যাসের জন্য ড্রিলিং করছে না। এই অবস্থায় এর্দোয়ানের সঙ্গে ম্যার্কেলের কথা অবশ্যই ইতিবাচক পদক্ষেপ। জার্মানি অবশ্য প্রথম থেকেই তুরস্ক ও ইইউ-র মধ্যে সেতু হিসাবে কাজ করেছে। বিরোধ মেটাতে চেয়েছে। ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে জার্মানিতেই তুরস্কের সব চেয়ে বেশি মানুষ থাকেন।

জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স)