1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার ইরানে খামেনির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

১২ জানুয়ারি ২০২০

মিসাইল নিক্ষেপে ইউক্রেনের বিমান ভূপাতিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে ইরানের কয়েক হাজার মানুষ৷ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে তারা৷

https://p.dw.com/p/3W4ew
Iran | Trauer und Proteste | Flugzeugabsturz
ছবি: picture-alliance/dpa/NurPhoto/M. Nikoubaz

পাশাপাশি ঘটনাটি কেন প্রথমেই স্বীকার করে নেয়া হয়নি এবং সংকটময় পরিস্থিতে কেন বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়নি এ প্রশ্নের মুখেও পড়ছে ইরান সরকার৷

ইরানের ছোঁড়া মিসাইলেই ইউক্রেনের বিমান ভূমাতিত হয়েছে, শনিবার সকালে এ তথ্য স্বীকার করে নেয়ার পর সন্ধ্যায় তেহরানের বিভিন্ন সড়কে জড়ো হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা৷ মিছিলে সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি এবং দেশটির রিভোল্যুশনারি গার্ডের বিরুদ্ধেও স্লোগান ওঠে৷

এদিকে ইরানের এই বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ শনিবারই এক টুইটে তিনি বলেন, ‘‘ইরানের সাহসী ও দীর্ঘদিনের নিষ্পেষিত জনতাকে বলছি৷ আমি প্রেসিডেন্ট হওয়ার শুরু থেকেই আপনাদের সঙ্গে আছি৷ আমার প্রশাসন আপনাদের সঙ্গেই থাকবে৷ আমরা এই বিক্ষোভ সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি এবং আপনাদের সাহসে আমরা অনুপ্রেরণা পাচ্ছি৷''

শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে দেশটির সেনাবাহিনী স্বীকার করে যে, মিসাইলের আঘাতেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে৷ ঘটনাটিকে 'অনিচ্ছাকৃত ভূল' বলে দাবি করে দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানান, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে৷

গত বুধবার রাতে ইউক্রেনের কিয়েভগামী বিমানটি ইরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই বিধ্বস্ত হয়৷ এ ঘটনায় ১৭৬ জন আরোহীর সবাই নিহত হন৷

নিহতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানের, ৫৭ জন ক্যানাডার এবং ইউক্রেনের ১১ জন নাগরিক ছিলেন৷

একই রাতে দেশটির কুদস বাহিনীর প্রধান কাসেম সোলাইমানিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে  হত্যার জবাবে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালায় ইরান৷ এ সময় কয়েক ডজন মিসাইল হামলা চালিয়েছিল দেশটি৷ তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো৷ যদিও ৮০জন মার্কিন সেনা হত্যার দাবি  করেছিল ইরান৷

মিনাইল হামলার এ সময়টিতে যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হলে আন্তর্জাতিক মহল এর বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধানে সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানায়৷ গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে ইউক্রেন, ক্যানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে যে, বিমানটি ইরানের মিসাইলের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে৷

তবে শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল ইরান৷

বেশ কয়েক জায়গায় বিক্ষোভ

সেনাবাহিনী ও সরকারের পক্ষ থেকে ঘটনার দায় স্বীকারের পর শনিবার দেশটির রাজধানী তেহরান, শিরাজ, এসফাহান, হামেদান ও ওরুমিয়াহ অঞ্চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কয়েক হাজার মানুষ৷ 

টুইটারে শেয়ার হওয়া নানা ভিডিওতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীরা নিহত সোলেইমানির ছবি পুড়াচ্ছে ও দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোউল্লাহ আলী খামেনির পদত্যাগ দাবি করছে৷ তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা যায়নি৷

২০০৯-১০ সালে অনুষ্ঠিত দেশটির গ্রিন মুভমেন্ট-এর নেতা মেহদি কারুবি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় খামেনিকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান৷  গৃহবন্দী থাকা এ নেতা অনলাইনে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন ''খামেনি এ বিষয়ে জানতেন৷'' কিন্তু জনগণকে সময়মতো বিধ্বস্তের কারণ  কেন জানানো হয়নি এ প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ 

এদিকে তেহরানের আমির কবির বিশ্বিদ্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ থেকে 'উসকানি দেওয়ার অভিযোগে' ইরানে নিযুক্ত বৃটিশ রাষ্ট্রদূতকে আটক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে দেশটির তাসনিম নিউজ এজেন্সি৷ তবে কিছু সময় পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷

নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ইরানের বিক্ষোভের একটি ভিডিও পোস্ট করে মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি মাইক পম্পেও বলেন ''ইরানের জনগণের কথা খুব স্পষ্ট৷ তাঁরা সরকারের মিথ্যা, দুর্নীতি, অদক্ষতা, এবং নিষ্ঠুরতার প্রতি বিরক্ত৷  আমরা তাঁদের পাশে আছি৷''   

আরআর/এডিকে (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য